নীলফামারী প্রতিনিধি: উদ্বোধণের পর চিলাহাটি স্থলবন্দরে ভারত থেকে তৃতীয় দফায় আমদানী করা হলো কালো পাথর (ব্লাকস্টন)। আজ মঙ্গলবার(১০ আগষ্ট/২০২১) বিকাল ৪টার দিকে ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর দিয়ে চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছায় এক হাজার ৭০২ মেট্রিক টন কালো পাথরের ৩০টি ওয়াগন। পরে ওয়াগনগুলো রেখে ভারতীয় রেল ইঞ্জিনটি একই পথে ভারতে ফিরে যায়।
চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, এর আগে ১ আগষ্ট বিকেলে এই রেলপথে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে ৪০টি ওয়াগনে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২০ মেট্রিক টন ও ৫ আগষ্ট ১৯ ওয়াগনে এক হাজার ১২২ মেট্রিক সাদা নুরী পাথর এসেছিল। দুই দফায় ওই পাথরগুলো আমদানী করেছিল দিনাজপুর হিলির খান এন্ড সন্স। যা যশোরের নোয়াপাড়া ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে খালাস করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) তৃতীয় দফায় ভারত থেকে ৩০ ওয়াগনে এক হাজার ৭০২ মেট্রিক টন কালো পাথর এসেছে। এই পাথর গুলো আমদানী করেছেন রাজশাহীর সিএন্ডএফ এজেন্ট শুভ এন্টারপ্রাইজ। শুভ এন্টারপ্রাইজের এসব পাথরের ওয়াগন দেশীয় ইঞ্জিনে নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিয়ে খালাস করা হবে।
উল্লেখ যে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সহ আরও চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হলো বেনাপোল-পেট্রাপোল, দর্শনা-গেদে, রহনপুর-সিংহাবাদ ও বিরল-রাধিকাপুর।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর ছিল। এটি ৫৬ বছর পুনরায় রেললাইন স্থাপনের মাধ্যমে চালু করার পর আমদানী কারকগন এই পথটিকে এখন বেশী করে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। কারন এই পথে ভারত থেকে পাথর, গম, চাল ও ভুট্টা আমদানীক্ষেত্রে সময় ও দুরত্ব কম লাগছে।
ফলে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে এখন দুই বাংলার মানুষজন নিয়মিত ট্রেনের আসা যাওয়া ও হুইসেল শুনতে ও দেখতে পারছেন। যা বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। প্রকাশ থাকে যে, দীর্ঘ ৫৬ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি ব্রডগেজ রেলপথটি চালু হবার পর এখন নিয়মিত ভাবে পণ্য আমদানী শুরু হয়েছে।
এই রেলপথটি গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যথক্রমে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেছিলেন।