বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানার প্রাণকেন্দ্র কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ পূর্ণিমা রাণী ঘোষ এর অনিয়ম চরম পর্যায়ে।
কুমিরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ পূর্ণিমা রাণী ঘোষ শিশুদের মাঝে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি পলেথিনে করে শিশুদের সিরাপ প্রেরন করছেন। করোনা কালীণ এই সময়ে যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরীব অসহায় মানুষের জন্য অবিরাম কাজ করে চলেছেন, সেখানে পূর্ণিমা রাণী প্রতিনিয়ত অনিয়ম করে চলেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুমিরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনেক মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রয়েছে। দেড় মাসের বাচ্চাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দিয়েছেন, এছাড়াও অসহায় মায়েরা ঔষধ ও সেবা নিতে গেলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ঔষধ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের ঔষধ দিতে আপত্তি করেন। এছাড়াও পূর্ণিমা রাণীর পরিবর্তে তার স্কুল শিক্ষক স্বামী প্রবীর কুমার পাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকেন আর পূর্ণিমা রাণী সেই সময় নিজের ব্যক্তিগত কাজ করে থাকেন। পূর্ণিমা রাণীর আচরনে কুমিরা ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ।
ভুক্তভোগী বাচ্চার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি গত ২৯শে জুন আমার ৩ মাসের কণ্যা সন্তানকে নিয়ে কুমিরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যায় এবং সেখান থেকে আমাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ দেয়। যদি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ আমার দুধের বাচ্চাকে খাওয়াতাম এবং তার যদি কোন সমস্যা হতো তাহলে এর দায়ভার কে নিত।
এলাকার সুধীজনসহ সর্ব স্তরের জনগন পূর্ণিমা রাণীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে উর্ধতন কর্মকর্তাসহ প্রশাসন ও জন প্রতিনিধির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আমিনুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবুল বাশার উপজেলা তালা, উভয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তারা দুজনেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।