রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর বাঘায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর আক্রমনে দলীয় নেতা আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ীতে কথা বলতে গেলে মসজিদের মাইক হতে ডাকাত বলে প্রার্থীর অনুসারীদের ডেকে এ হামলা চালানো হয় জানা যায় । এ আক্রমনে চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর সহ ৭/৮ জন আহত হন। এদের মধ্যে দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের টলটলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান সহ ৪জনকে আটক করেন।
অভিযোগ সূত্রে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার আড়ানী, বাউসা এবং চকরাজাপুর ইউপি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ তুফান-কে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করতে যান উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল , যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন,ওয়াহেদ সাদিক কবির,মাসুদ রানা তিলু, মজিবুর রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু , নৌকা প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক, বাউসা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ও আড়ানী পৌর আ’লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান সাইদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
এ সময় নুর মোহাম্মদ তুফান তাদের সাথে দেখা না করে, উল্টো তার সমর্থীত লোকদের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী মসজিদে মাইকিং করান এই মর্মে যে, তাঁর বাড়িতে বহিরাগত লোকজন ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। এ খবর শুনে তুফানের লোকজন সহ প্রতিবেশীরা উপজেলা আ’লীগ নেতাদের উপরে হামলা চালান। এ ঘটনায় ৭/৮ জন আহত হন এবং মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে বাউসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান (৩০) ও কাজল (২৫) কে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সময় মোবাইলে খবর পেয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছান ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান (৬০) উজ্জল (২৬) এবং আশিক (২৫) মোঃ জয়(২০)কে আক্রমনের সাথে জড়িত থাকায় আটক করেন। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, আ’লীগ দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিকের মোটরসাইকেল ভাংচুর ও অতর্কিত হামলার অভিযোগ এনে ঘটনার রাতেই ৫১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় বাউসা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন-সহ আরো ১৫-২০ জন আসামী রয়েছে।আটককৃদের সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, নুর মোহাম্মদ তুফান ভাই আমাদের দলীয় নেতা। তার মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি কয়েক দফা কথা বলেছি। সর্বশেষ আড়ানী পৌর আ’লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান সাইদ ভাইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেউ চেয়ে ছিলেন। এ জন্যে শনিবার রাত ৮ টার সময় তুফান ভাই সাইদ এর বাসায় যওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি না যাওয়ার এক পর্যায় রাত ৯ টার সময় তাঁকে ফোন করলে তিনি আসছি বলে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
ঘটনার এক পর্যায় আমরা তার বাসায় যায়। এরপর তাকে বাহির থেকে ডাকা হলে তিনি দেখা করবেন না বলে জানান। এ সময় মুহুর্তের মধ্যে পার্শ্বতী মসজিদের মাইক হতে তার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে লোকজন ডাকা হয়। মাইকিং শুনে তার লোকজন সহ ঐ এলাকার জামাত-বিএনপির সমর্থীত লোকজন এসে আমাদের উপরে হামলা চালায়। আমি ভাবতেই পারিনাই এমন কাজ তুফান ভাই করবেন।