আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রমের ২য় দিনে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর ২ ঘন্টা পর ব্যবস্থাপনার অভাবে একটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাড়িয়ে দাড়িয়ে অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছে। আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুল্যা ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকাদান করা হয়। একেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়। অপরদিকে, রিভারভিউ কেওড়া পার্কে বুধহাটা ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক স্তরের স্কুল, মাদরাসার কলেজের ৭ম থেকে একাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থীদের টিকাদানের আয়োজন করা হয়। এসব বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিতে সকাল ৮ টার পর থেকে কেওড়া পার্কে আসতে শুরু করে। ১০ টার দিকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। কিন্তু একটি মাত্র পথে ছাত্রছাত্রীদের ঢোকা ও বের হওয়ার ব্যবস্থা ছিল। প্রথমে লাইনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যে লাইন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। সেখানে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তাদের পক্ষে ছাত্রছাত্রী, তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব ছিলনা। তাছাড়া একটি মাত্র কেন্দ্রে একটি মাত্র পথে এতগুলো মানুষের প্রবেশ বাহির হওয়ার ব্যবস্থা থাকায় পরিবেশ ঠিক রাখাও কঠিন ছিল। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষক, অভিভাবক টিকাদান কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করায় জটিলতা বেড়ে যায়। টিকাদান কাজের সাথে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বারবার চেষ্টা করেও তাদেরকে বের করতে না পেরে বল প্রয়োগ করতে গেলে শারীরিক এ্যাসাল্ট ও বিশৃংখলা সৃষ্টির করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। সবমিলে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এনিয়ে শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সচেতন অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার স্মরনাপন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা না হওয়ায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। দূরদুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে বিফল মনোরথ হয়ে টিকা না পেয়ে ফিরতে বাধ্য হয়। অপরদিকে, টিকানিতে আসা মানুষকে বহনকারী যানবাহন, সড়কের প্রতিদিন চলাচলকারী যানবাহনের ভিড়ে সাতক্ষীরা-শ্রীউলা ভায়া আশাশুনি সড়কের মহেশ্বরকাটি থেকে ব্রীজ হয়ে আশাশুনি বাইপাস সড়কের বড় অংশ জুড়ে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল থেকে ৩ টা পর্যন্ত যানজটে পড়ে পথচারী, যানবাহন যাত্রী ও চালকদের মধ্যে কল্পনাতীত দুর্ভোগ নেমে আসে। উল্লেখ্য, আজ (মঙ্গলবার) আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দরগাহপুর ইউনিয়নের এবং রিভারভিউ কেওড়া পার্কে কাদাকাটি ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।