আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নে বিয়ের ৭ মাস পরও বড় ভাইবোনের বিয়ে না হওয়ার ছলনায় ফেলে শ্বশুর ও ভাসুর কর্তৃক বউমাকে নানা ভাবে বঞ্চনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, কুল্যা ইউনিয়নের পুরোহিতপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের কন্যা শারমীন সুলতানার সাথে কচুয়া গ্রামের হারুনুর রশীদের পুত্র আব্দুল হাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ৬ বছর প্রেমের পরিণতিতে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর তাদের রেজিস্ট্রী বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের দেনমোহর ছিল ২ লক্ষ টাকা। বিয়ে অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুর ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বরের পিতামাতা বিয়ে মেনে নিতে না চাইলে এনিয়ে কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদে ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক হয়। বৈঠকে বিয়ের বিষয়টি সত্য প্রমানিত হয়। কিন্তু বরের বড় ভাইবোনের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত বউ বাড়িতে না নেওয়ার অজুহাত খাড়া করে লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে তাদেরকে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর ভাবে পরিচালনা ও দু’টি পরিবারের চিরন্তন সত্য দাম্পত্য জীবনকে সুখি সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে তঞ্চকতায় পর্যবশিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কন্যার পরিবার। ফলে বর ও তার পরিবার মেয়ের পিত্রালয়ে না যাওয়া, তার ভরণপোষন না দেওয়া, আত্মীয়তার সম্পর্ক না রাখাসহ নানা ভাবে বঞ্চনা দিয়ে আসছে। বাধ্য হয়ে মেয়ের ভাই জান্নাতুন্নাঈম গত ঈদুল ফিতরে বোনাইকে দাওয়াত দিতে যায় তাদের বাড়িতে, কিন্তু বোনাইয়ের ভাই, বোন, পিতামাতা তাকে গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শারমীন তার শ্বশুর, ভাসুরের কাছে অনেকবার ফোন করে কুশল বিনিময় করে গরীব পিতা তার খরচ যোগাতে পারছেনা, ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে তাচ্ছিল্যতার সাথে বউ হিসাবে মানেনা বলে ছাফ জানিয়ে দেয়া হয়। স্বামীর কাছে ফোন করলে কিছুদিন কথা হলেও পরবর্তীতে স্বামীসহ তাদের পরিবারের সকল মোবাইলে তাদের নাম্বার ব্লাকলিষ্টে রেখে দেওয়া হয়। কাজেই পিত্রালয়ে থাকা বঞ্চিত স্ত্রী চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছে। অসহায় শারমীন গরীব পিতার বোঝা হয়ে না থেকে স্বামী সংসার ফিরে পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।