বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সিজারের পর নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে ডা.মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় ডা.মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালে আজ শুক্রবার ২০/০৮/২০২১ দুপুর ২টার ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পরিবারটির অভিযোগ। তবে এই অভিযোগের ভিত্তিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছে, আল্ট্রাসনো রিপোর্টে ভুল।
দুটি নয় প্রসুতির গর্ভে সিজার করার পরে বাচ্চা পাওয়া গেছে একটি। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের নবজাতক শিশুর পিতা তরিকুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস কে জানান, তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুনের গর্ভে সন্তান আসার পর এ পর্যন্ত তিনবার আল্ট্রাসনো করা হয়েছে। সব রিপোর্টে গর্ভে দুটি জমজ ছেলে সন্তানের কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টেও সেটি লেখা রয়েছে বলে জানান। আজ শুক্রবার প্রসব বেদনা আসলে দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসূতিকে ভর্তির পর তারাও জানিয়েছে, গর্ভে যমজ দুটি সন্তান রয়েছে। এরপর সিজার করার পর একটি সন্তান দিচ্ছে আমাদেরকে। আরেকটি শিশু সন্তানের কোন হদিস নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, একটি বাচ্চা চুরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অথবা সিজার করার সময় চুরির আঘাতে হয়তোবা মারা গেছে সেকারণে এখন অস্বীকার করছে।
এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানিয়েছি। প্রসূতি মৌসুমী খাতুনের চাচা শহিদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস কে বলেন, সাতক্ষীরার এই ক্লিনিকে ভর্তি করার পরও বলেছে যমজ দুটি ছেলে সন্তান গর্ভে। সিজারের পর দিচ্ছে একটি সন্তান। পুলিশের জরুরী সেবা ৩৩৩-তে কল করেছিলাম। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেছে। তবে বাচ্চা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। শেষে পুলিশ বলেছে, আপনারা থানায় মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার ডাঃ মাহাতাবউদ্দীন মেমোরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার শরিফুজ্জামান বিপুল দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস কে বলেন, ডা. লিপিকা বিশ্বাস এই রোগীর সিজারটি করেছেন। আমাদের ক্লিনিক থেকে বাচ্চা চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি। আল্ট্রাসনো রিপোর্ট ভুল ছিল। যমজ নয় প্রসূতির গর্ভে একটি ছেলে সন্তান পাওয়া গেছে সিজার করার পরে। সাতক্ষীরা সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি, আল্ট্রাসনো রিপোর্টটি ভুল ছিল। বাচ্চা চুরির কোন আলামত এখনো পাওয়া যায়নি।