আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে অন্যের সম্পত্তিতে ঘর বেধে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরও দখলখারীরা আইনকে তুয়াক্কা না করে দখল কাজ অব্যাহত রাখায় বাদী পক্ষসহ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাদাকাটি ইউনিয়নের রণজিত মন্ডল তালবাড়িয়া কাশিপুর মৌজায় ১১৯, ১২০সহ ৫টি দাগে ভিটেবাড়ী, বিলান ও পুকুর শ্রেণির ৭৯ শতক জমির মালিক ও দখলিকার থাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
মুতান্তে তার একমাত্র সন্তাক (কন্যা) পঞ্চমী মন্ডল (নাবালক পুত্র সন্তানসহ), দু’স্ত্রীকে রেখে যান। রণজিতের মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৭ বছরেও কেউ জমিতে জবর দখলে আসেননি। পঞ্চমী মন্ডল স্বামীর (বিষ্ণপদ মন্ডল) বাড়িতে কামালকাটি থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিটেবাড়ী জবর দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকে তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত কালিপদ মন্ডলের পুত্র ভবেন্দ্র মন্ডল ওরফে কদু, অর্জুন মন্ডল ও শচীন্দ্র নাথ মন্ডল এবং মনিন্দ্র নাথ মন্ডল ও তার পুত্র মিলন মন্ডল। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে শালিস মীমাংসার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই গত ২৫ এপ্রিল জমিতে জোর পূর্বক ঘেরাবেড়া দিতে থাকে।
পঞ্চমী ও তার স্বামী জানতে পেরে বাধা দিতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর করতে যাওয়া ও খুন জখমের হুমকী দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে বিষ্ণপদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানার এসআই জাহাঙ্গীর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে কাগজপত্র নিরিখে জমি মাপজোক করে দখল নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারনে মাপ জরিপ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় ষড়যন্ত্রকারী বিবাদী পক্ষ ভবেন, অর্জুন, শচীনসহ বিবাদীরা ১৭ আগষ্ট হতে পুনরায় জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে খুটির উপর ৩টি ঘর নির্মান কাজ শুরু করে।
ইতিমধ্যে বেড়া না দেওয়া হলেও টিনসেড, টালি ও গোলপাতার ছাউনি দিয়ে ঘরের চাল দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হলেও এখনো কাজ বন্দ করা হয়নি। ফলে বাধা দিতে গেলে খুন জখমির মত কোন অঘটন ঘটার শঙ্কা নিয়ে বাদী পক্ষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্ত ও থানা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে জবর দখল ও ঘর নির্মান কাজ করার বিষয়টি প্রতিহত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন পঞ্চমী মন্ডল দিং।