বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার, তালা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খলিষখালী গ্রামে গত ২৮/০৮/২০২১ রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় এক গৃহ বধুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গৃহবধূ নাম রিপা রানী রাহা (২৩) পিতা আনন্দ রাহা গ্রাম- উজিরপুর, উপজেলা -শালথা, জেলা ফরিদপুর এবং স্বামী দেব্রতো আইচ, পিতা – অমারেশ আইচ, মাতা- বুলু রানি আইচ। গৃহবধু রিপা রানীকে গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যারচেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উঠেছে গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুড় ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
স্বজনেরা ও রিপা রানী নিজে দৈনিক বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কায়দায় টাকা ও বিভিন্ন জিনিস পত্র আমার বাবার বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি ও শারীরিক নির্জাতন করে আসছিল। কিন্তু বিয়ের সময় আমার বাবার কিছু দেওয়া কথা না থাকা সত্ত্বেও বাবা যে টুকু পেরেছে দিয়েছে। রিপা রানীর বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছর তার একটি দশ মাস বয়সের মেয়ে আছে বলে জানান।
বিয়ে পর থেকে প্রায়দিন তাকে নির্জাতন করে আসছিল পাষণ্ড স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িকে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায় দেবব্রত আইচ এর এইটা দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ে হয়েছিল একই জেলার একই উপজেলার ভিতর কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা গ্রামে। প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পর রিপা রাহাকে বিয়ে করে।
গত শনিবার আগুনে তার শরীর পুড়ে মারাত্মক জখম করা সর্তেও তাকে চিকিৎসার জন্য কোনো ব্যবস্থা করেনি তার পাষণ্ড স্বামী শ্বশুর এবং শাশুড়ি। তার অভিভাবকেরা এই ঘটনার পর প্রতিবেশিদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রবিবার দুপুর ২ টার দিকে বাবার বাড়ির স্বজনেরা নিতে আসেন।
এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার জন্য নিয়ে যায়।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হুদা দৈনিক বাংলাদেশ টাইমসকে
জানান, গৃহ বধূর এখুনি উন্নত চিকিৎসার জন্য তার বাবার বাড়ির অভিভাবকেরা নিয়ে গেছেন এবং আমার থানায় অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।