আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ নগর গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের জীর্ণশীর্ণ ঘরে নামাজ আদায় করে আসছেন এলাকার মুসল্লিরা। মসজিদ উন্নয়নের সামর্থ না থাকায় দীর্ঘদিন খুবই কষ্টে মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়। ফলে মসজিদটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বড়দলের চকবুড়িয়া গ্রাম যার বর্তমান নাম মোহাম্মদ নগর।
মোহাম্মদ নগর এলাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ উঠে এসে এই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। অর্থনৈতিকভাবে তারা সচ্ছল না হওয়ায় নিজেদের বাসগৃহ ও দৈনন্দিন সংসার নির্বাহে তাদের অধিকাংশকেই কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হয়। তাই মসজিদের উন্নয়ন, মসজিদ পুননির্মান কাজ করার মত চিন্তা তারা মাথায় নিতে পারছেন না। কোন রকমে ঘেরাবেড়া দিয়ে টিনের ছাউনির মধ্যে তারা সালাত আদায় করে থাকেন।
ছাউনির টিন মরিচা ধরে ও ভেঙ্গে যাওয়ার বৃষ্টির পানি ঘরের মধ্যেই পড়ে থাকে। ঝর-বাতাসের সময় নড়বড়ে অবস্থার কারণে মুসল্লিরা দুশ্চিন্তায় থাকেন কখন নাজানি চাল ভেঙ্গে গায়ের উপরে পড়ে তা নিয়ে। টিন উড়ে না যায় সেজন্য ইটদিয়ে চেপে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। পানি ভিতরে না পড়ে তা ঠেকাতে চালের উপর বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পলিথিন পেপার। ঘর এতটা ছোট যে মসজিদে ঢুকতে গেলে মাথা নিচু করে ঢুকতে হয়। এহেন অসহায় পরিস্থিতিতে থাকা মুসল্লিদের পাশে দাঁড়িয়ে মসজিদের উন্নয়নে শরীক হওয়ার জন্য মুসল্লিরা তাকিয়ে আছেন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি ও ধর্মপ্রাণ মানুষের দিকে। মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ মুসল্লিরা আকুতি জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁনসহ এলাকার বিত্তবান ও ধর্মপ্রাণ সকল মানুষরে কাছে। যাতে তাদের মসজিদটিকে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদে রূপান্তর করা যায় সে ব্যাপারে তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।