আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক লিঃ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার পরিচালক একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অভিযুক্ত মেসবাউল আলম কারাগারে গেলেও বাদীপক্ষ তার নানা কৌশলে স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না।
মামলাসূত্র ও বাদী পক্ষ জানান, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরের আঃ মজিদের পুত্র মেজবাউল আলম বুধহাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা স্থাপন করে শাখায় চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।
এবং মহিলাদের চাকুরি দেওয়ার সুবাদে অনেকের সাথে কাছাকাছি যাওয়া ও বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা ও পরে বিয়ের ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধহাটা শাখায় এমনই সুযোগের পথ বেছে নেন তিনি। তার স্ত্রী সন্তান থাকার কথা গোপন করে মালেক ঢালীর কন্যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিবাহের প্রতিশ্রুতিতে তাকে খুলনায় নিয়ে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে বিবাহের নাটক করেন।
এ ব্যাপারে প্রতারিত মালেকের কন্যা বিজ্ঞ আদালতে ৪০৬/৪২০/৪৯৩/৫০৬ (২য়) ধারায় সিআর ১৯৩/২১ (আশা) মামলা রুজু করলে বিজ্ঞ আদালত “— বর্ণিত অবস্থায় সামগ্রিক বিবেচনায় যেহেতু এই আসামীর বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৪৯৩ ধারার জামিন অযোগ্য অভিযোগ এবং প্রথম ঘটনার তারিখ ০১/১০/২০২০ উল্লেখ আছে ফলে জামিনের দরখাস্ত বিবেচনা করা গেলনা” অভিমত ব্যক্ত করে ২৩/৯/২১ তাং মেজবাউলকে কারাগারে প্রেরন করেন। ৩০/৯/২১ তার তিনি জামিন আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করা হয়।
এমনই প্রতারিত শোভনালী ইউনিয়নের খলিসানী গ্রামের আঃ মজিদ পাড়ের কন্যা উক্ত মেসবাউল কর্তৃক বিবাহের প্রলোভনে বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেলামেশা করা, কথিত ভলিয়ম বইতে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের নাটক করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং পরবর্তীতে হুমকী ধামকীসহ নানা অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পি-৩২৬/২১ মামলা রুজু করেছেন। আঃ মালেক ও তার কন্যা জানান, মেসবাউলের বিরুদ্ধে মামলার খবর জানতে পেরে বিভিন্নভাবে মামলা থেকে রক্ষা পেতে তদবীর শুরু করেন মেসবাহ।
তাতে কাজ না হওয়ায় তিনি (মেসবাহ) বাদী হয়ে আঃ মালেক ও তার কন্যার বিরুদ্ধে সিআর ২০১/২১ ও ২০২/২১ নং দু’টি মামলা রুজু করেন। যাতে মিথ্যা ও কাল্পনিক কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য পিআইবি এর উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। এতেও সে তৃপ্ত হতে না পেরে থানায় একটি অভিযোগও করেন। তাদের দাবী, সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ ও গ্রাহকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। স্ত্রী ও সন্তান থাকা স্বত্ত্বেও তা গোপন করে একাধিক নারীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন, ভূয়া কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে প্রতারনার ঘটনা অস্বত্তিকর। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী ও গ্রাহকরা দাবী জানিয়েছেন।