আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুরে বংশ পরম্পরায় শতাধিক বছরের ভিটেবাড়িতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে ঘড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘরবাড়ি বেধে বসবাসকারী পরিবারগুলো সেখানে বসবাস করেন না মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে ষড়যন্ত্রের শিকার আমিনদ্দিন দিং প্রশাসন ও আইন আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত জরিপ ঢালীর পুত্র আনার আলী, আমিনদ্দিন, আঃ মাজেদ, আনিছুর রহমান ১৫৩ নং খতিয়ানে এসএ ৩২৬ ও ৩২৭ দাগে হাল ৬৫ ও ১০৩ নং খতিয়ানে বিলান ও বাড়ী শ্রেণির ১৯ শতক জমি তাদের দাদা, পিতার ভোগদখলীয় ও বংশ পরম্পরায় শতাধিক বছর তারা ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করে আসছেন। জমি তাদের নামে রেকর্ড ও চেকদাখিলাও কেটে আসছেন। তাদের চাচাত বোন মৃত মাদার ঢালীর কন্যা অরুনা খাতুন তার প্রাপ্য অংশ ২ শতক ও তার ৩ ভাই ও মা তাদের অংশসহ মোট সোয়া ৮ শতক জমি আনার ঢালী দিংকে ১৬/৬/৯০ তাং ৪৪১৬ নং দলিলে রেজিঃ করে দেন।
তাদের এখনো ১১ শতক জমি আছে যেখানে তারা বসবাস করেন। আনার দিং তাদের ক্রয়কৃত জমিসহ পৈত্রিক ১৯ শতক জমিতে বংশ পরম্পরায় শতাধিক বছর ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করে আসছেন। অরুনা খাতুন বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি-১০২৮/২০ (আশা) ১৪৫ ধারা মামলা করেন। তদন্তভার পেয়ে আশাশুনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কানুনগো তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন ৯/২/২১ তাং। বিবাদী আমিনদ্দিন গং অভিযোগ করেন, আমরা আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে বসবাস করে আসছি।
বাদী আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে নানাভাবে ঘড়যন্ত্র করে আসছে। এনিয়ে ১৪৫ ধারা মামলা করলে তদন্ত প্রতিবেদনে সেখানে আমাদের বসবাসের ঘরবাড়িসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকা স্বত্তেও মামলাভুক্ত দাগের জমিতে বিবাদী গংদের আদৌ কোন দখল নাই উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের দখল না থাকলে কেনই বা মামলা হলো? কেনই বা আদালতে দেং ১১২/৯৫ নং স্বত্ব মামলা এবং ১৩৬৯/১৭ নং সার্ভে ট্রাইব্যুনাল মামলা হলো।
এব্যাপারে স্থানীয় আ’লীগ নেতাসহ প্রতিবেশীরা জানান, আমিনদ্দী দিং বৈধভাবে ভিটেবাড়িতে বসবাস করে আসছে। তাদের আদৌ কোন দখল নাই কথা সঠিক নয়। পঙ্গু আমিনদ্দী দিং খুবই অসহায়, তারা দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। তাদের প্রতি আইন আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।