আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১০৬টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজনের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে উৎসব মুখর পরিবেশে। প্রতিমা তৈরী ও মন্দিরের সাজসজ্জার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আগামী ১০ অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে সায়ংকালে দেবীর বোধন এর মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এরপর ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দূর্গাদেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠী বিহিত পূজা এবং সায়ংকালে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমীতে নবপ্রত্রিকা প্রবেশ, সপ্তমী বিহিত পূজা এবং দেবীর ঘোটকে আগমন। ১৩ অক্টোবর মহাষ্ঠমীতে দূর্গা দেবীর অষ্টমী বিহিত পূজা। ১৪ অক্টোবর মহানবমীতে বিহিত পূজা এবং ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বিহিত পূজা সমাপন ও বিসর্জন, বিজয়া দশমী কৃত্য ও দেবীর দোলায় গমন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে দূর্গোৎসব বিবেচিত হলেও বর্তমানে তা বাঙ্গালী উৎসবে পরিনত হয়েছে। উৎসব মুখর পরিবেশ সাতক্ষীরার অন্যান্য স্থানের মত আশাশুনিতেও শিল্পের হাতের নকশায় এবং রং তুলির ছোঁয়ায় তৈরী হচ্ছে দেবী দূর্গার প্রতিমা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার বৈদ্য জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও আশাশুনি উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের সর্বমোট ১০৬টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে যার মধ্যে আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ১০টি, শোভনালীতে ৬টি, কাদাকাটিতে ১৬টি, দরগাহপুরে ৯টি, কুল্যায় ১১টি, শ্রীউলায় ৮টি, বুধহাটায় ৫টি, খাজরায় ১৪টি, আনুলিয়ায় ৪টি, বড়দলে ২১টি মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তায় বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে। সকল পূজা মন্দিরগুলোতে চলছে প্রতীমা নির্মাণ ও মন্দিরের সাজসজ্জার কাজ। পরবর্তীতে রং তুলির ছোঁয়ায় দশভুজা ষষ্ঠীতে পাবে জীবন্ত রূপ। দেবী সেজে উঠবে অপরূপ সাজে। শঙ্খ উলুধ্বনি আর মঙ্গল সঙ্গীতে দেবী দূর্গাকে বরণ করে নেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জাতির মঙ্গল কামনায় সব অশুভ শক্তি বিনাশে প্রতিবছর মহালয়ার দিনে দেবী দূর্গা শ্বশুরালয় থেকে পিতৃগৃহে আগমন করেন। আসুরিক শক্তির বিনাশ আর পার্থিব শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মা দূর্গার আরাধনা করে আসছেন। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তবে এবার পূজা উপলক্ষে আড়ম মেলাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহ হবেনা বলে জানাগেছে। এদিকে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জনসাধারণের সহযোগিতায় শারদীয় দূর্গাপূজা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন উপজেলাবাসী।