সিনিয়র প্রতিনিধি: বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। দেশের স্তন ক্যান্সারের রোগীর মধ্যে ৯৮ শতাংশই নারী। পৃথিবীতে প্রতি ৬ মিনিটে একজন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রতি ১১ মিনিটে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারী মারা যায়। প্রতি বছর প্রায ২০ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সচেতনতার মাধ্যমে এই ক্যান্সার ৫০ শতাংশই নিরাময়যোগ্য। খবর বাপসনিউজ।
মেডিসিন ক্লাবের উদ্দ্যোগে হাতিরঝিল এর পুলিশ প্লাজার সামনে সকাল ৮.০০ টায় এইচপিএনএসপি ও ইউএনএফপিএ এর সহযোগিতায় “এ যাত্রা কারো একার নয়” শ্লোগানতে সামনে রেখে মাসব্যাপি সচেতনতামূলক কর্মসূচি ডধষশ ঋড়ৎ চরহশ আয়োজন করা হয়।
প্রায় ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের অংশ গ্রহণে ডুয়ালথনের আয়োজন করা হয়। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ওয়াক ফর পিংকের কো-অর্ডিনেটর ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এর পলিসি অফিসার আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
উল্লেখ্য বিগত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখের ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে মেডিসিন ক্লাব কাজ করে চলছে।
ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা বলেন, ক্যানসারের কথা শুনলেই অনেকেই আঁতকে ওঠেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই জানেন না এটি প্রতিরোধযোগ্য। এ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো জানা না থাকার কারনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা গেলে প্রায় ৫০ ভাগই নিরাময় সম্ভব হবে। ৩৫ বছর বয়সি নারীদের নিয়মিত স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্র্যাফির মাধ্যমে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আ ন ম মাছুম বিল্লাহ ভূঞা বলেন, স্তন ক্যান্সার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্যগত ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে এসডিজি এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে।
বক্তারা বলেন, অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান এবং তামাকজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি, দীর্ঘদিন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংস্পর্শে থাকা নারীরা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নিজে নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত। আর বছরে একবার দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে স্তন পরীক্ষা করাতে হবে। ৩৫ বছর বয়সি নারীদের নিয়মিত স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্র্যাফির মাধ্যমে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।