পটুয়াখালী প্রতিনিধি: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বাসীর স্বপ্নের লেবুখালীর পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ও পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শেষে সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে ২৪ অক্টোবর যানবাহন চলাচলের জন্য সেতুটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালভাবে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ১৮ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৯ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করার পরে দীর্ঘ ৮বছর ৭মাস ৫দিন শেষে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের স্বপ্নের লেবুখালী সেতু কুয়াকাটা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পায়রা বন্দর পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে যা বর্তমান সরকারের একটি নতুন মাইলফলক। সেতু কর্তৃপক্ষ ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের (এনএইচ-৮) ১৯২ কিলোমিটার এবং বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ২৭ কিলোমিটারে লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর সব শেষ সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই।
কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড। পটুয়াখালী, বরগুনা জেলা ও দুমকি উপজেলাসহ স্থানীয় জনগনের মধ্যে সেতুটি উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রতিক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে ২৪ অক্টোবর এবং সকলের মধ্যে আনন্দ সঞ্চার বিরাজ করছে। সেতুটি চালু হওয়ার পূর্বেই সকাল-সন্ধ্যার পরে সেতুর দু’পারে দর্শনার্থী ভীড় জমাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী মোহাম্মদ কামাল হোসেন পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) ভার্চুয়াল উদ্বোধনের স্থান পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। উদ্বোধন বিষয়ে সেতু নির্মান পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হালিম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।