বিশেষ প্রতিনিধি: ভারতের ব্যঙ্গালুরুর এর ভবেপশ্বরি এলাকার বাসিন্দা জনাব এজাজুর রহমানের দায়ের করা একটি খোরপোষ মামলার রায় দিতে গিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী কৃষ্ণা দ্বিবেদী ঘোষণা করেন যে কোন মুসলিম নিকাহ একটি মামলি বিবাহ নয়। মুসলিম নিকাহ একটি শরিয়তের চুক্তি স্বাক্ষরিত বিধান বটে।
জনাব এজাজুর রহমান প্রথম বিবাহ করেন, ১৯৯১,সালের, ২৯,নভেম্বর। এবং দীর্ঘদিন ধরে ঘরসংসার করার পর তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুকে, ২০০২,সালের, ২৪,আগাস্ট, তালাক দেন। এবং এজাজুর রহমানের স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এবং প্রথম পক্ষের স্ত্রী সায়রা বানু তার স্বামী এজাজুর রহমানের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এবং, ৫০০০,টাকা, খোরপোষ দাবি করেন।
তখন তার স্বামী এজাজুর রহমান কর্নাটক হাইকোর্টে বলেন যে তার স্ত্রী দেনমোহর টাকা, ৫০০০, টাকা পরিশোধ করে দেন। কিন্তু বিচারপতি শ্রী কৃষ্ণা দ্বিবেদী ঘোষণা করেন, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী সায়রা বানু থাকতে তার এজাহার না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এবং তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী সায়রা বানু আজীবন যতদিন বেঁচে থাকতে তার দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করতে হবে এজাজুর রহমান কে। এবং খোরপোষ ও তালাক দিলে স্বামীর কর্তব্য পালন শেষ হয়ে যায় না। তার বাচ্চার দেখাশোনা ও প্রথম পক্ষের স্ত্রী সায়রা বানুকে দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কর্নাটক হাইকোর্ট আজ ঐতিহাসিক সাহা বানু মামলা ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এবং হায়দ্রাবাদ এর এম পি জনাব আলাউদ্দিন ওয়াইসির কথা স্মরণ করে বলেন যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কে কখনো কোরান শরীফ নির্দেশ দেন নি যে নিকাহ করার পর তার স্ত্রী কে ছেড়ে দেবেন বিনা কারণে। তাই কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী কৃষ্ণা দ্বিবেদী ঘোষণা করেন যে সায়রা বানুকে তার স্বামী এজাজুর রহমান প্রতি মাসে, ৫০০০,টাকা, খোরপোষ দেবেন যতদিন বেঁচে থাকবেন।