অবশেষে তুমিও বুঝলে,!
ভেতরে ভেতরে নিঃশব্দে কাঁদতে পারা মানুষ গুলো;
বাহির থেকে কতটা পরিপাটি।
তুমিও বুঝলে,!
অনাহত হৃদয়ের আত্মনাদ চার দেয়ালে কিভাবে চাপাপড়ে থাকে।
কিভাবে ডাকনাম গুলো হাত বাড়িয়ে ডাকে।
শুনেছি, তুমিও তাকে পাওনি !
আমার চেয়ে বেশি ভালো বেসেছিলে যাকে!
আচ্ছা, সত্যকে কতটা ধামাচাপা দিলে মিথ্যের জয় হয়?
অনুভূতিগুলোকে কতটা দাবিয়ে রাখলে,
তোমার কাছে বেহায়া হতে হতো না আমাকে?
ভিখারীর মতো আঁচল পেতে চেয়েছিলাম তোমাকে ।
তবুও মন আমার মানতে চায়না;
এক সমুদ্র ভালোবেসেও কেনো মানুষ
ভালোবাসার মানুষটাকে পায়না?
অভ্যাসে মিশে থাকা মানুষটাকে ভুলতে কতো কি বাহানা!
জানো,এখন আর আমার কষ্ট হয়না!
পরাজিত দুটি চোখ আর কোন স্বপ্ন দেখে না।
বৃষ্টির শব্দে এখন আর আমার ঘুম ভাঙ্গে না ।
আমি ঘুমাতে চাই, অন্ততকাল এভাবেই থাকতে চাই।
এই রাত ভোর না হোক,
কাকডাকা ভোরে কারো স্মৃতি মনে করে
চোখের কার্নিশ না ভিজুক।
তবু নিয়ম করে ভোর হয়,
বিষণ্ণতার দহনে ধূসর হয় আকাশ।
দীর্ঘশ্বাস চাপা পড়ে থাকে আমার বুকের ভেতর।
আমার মন খারাপ হয়।
ভিষণ কান্না পায়। তবু নিমিষে সব টুকু জল শুষে নেই।
নিয়ম করে আমি হেসে যাই,
রোজ নিয়ম করে তিন বেলা খেতে না পারলেও
তোমার দেওয়া দুঃখ গিলে খাই।
“অবশেষে তুমিও বুঝলে”
লেখা : পারভীন ইসলাম।