আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের জামালনগর সুন্দরবনী দরবার শরীফের পীর কেবলা বীরমুক্তিযোদ্ধা হজরত বজলুল রহমান সুন্দরবনীসহ ৩ জনকে অচেতন করে তার বাড়ি থেকে দুঃসাহসিক চুরি সংঘঠিত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতের কোন একসময় সংঘবদ্ধ চোরের দল তার বাড়িতে ঢুকে তাদেরকে চেতনা নাশক স্প্রে করে বা ঔষধ খাদ্যের সাথে মিশিয়ে অচেতন করে এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে এঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাগেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে ৯টার দিকে পীরসাহেব সুন্দরবনী ও তার বাড়ির কেয়ারটেকার বাবলু সরদার এবং তার স্ত্রী লাকী আক্তার ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে বাবলু সরদারের ছেলে রিয়াদ হোসেন গেটের সামনে গিয়ে তাদেরকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সে দরবার শরীফের পিছন দিক থেকে ভিতরে ঢুকে ঘরের বাক্সের তালা খোলা অবস্থায় লেবু গাছের নিচে ফেলানো ও তার পিতা মাতাকে এক রুমে এবং অন্য রুমে পীরসাহেব হুজুরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এরপর সে বাহিরে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা এসে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্থানীয়রা আরও জানান, কিভাবে তাদেরকে অজ্ঞান করে চোরের দল এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি স্পষ্ট নয়। পীর সাহেব সুন্দরবনী হুজুরের ছোট ভাই এ্যাড. আকবার হোসেন জানান, হুজুর ৩/৪ দিন আগে সোনালী ব্যাংক থেকে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ঐ বাক্সে রেখেছিলেন। সেই টাকা চোরের দল চুরি করে নিয়ে গেছে। কেয়ার টেকার বাবলু সরদার জানান, টাকার পাশাপাশি তার স্ত্রী লাকী আক্তারের কানে থাকা এক জোড়া স্বর্ণের দুল ও বাক্স থেকে সোনার চেইন, আংটি চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ গোলাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে, এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা পীর সাহেব ফজলুর রহমান সুন্দরবনী এর জ্ঞান ফিরেনি বলে জানাগেছে।