বিশেষ প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাল্মাবীদের শারদীয় দূর্গাৎবের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা অর্থাৎ কালীপূজা ও দীপাবলি উৎসব। প্রতিবছরের ন্যায় দূর্গার পূজার পর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে কালীপূজা অর্থাৎ শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে দিপাবলীর আয়োজন করা হয়। সনাতন ধর্মীদের শাস্ত্র মতে, দেবী কালী দুর্গার শক্তির আরেক রুপ।
কালীপূজা অর্থাৎ শ্যামা পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয় ঘটায়। দেবী কালী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা মা,তারা মা, ভদ্রকালী ছাড়া বিভিন্ন নামে পরিচিত বিভিন্ন জায়গায়।কালীপূজা অর্থাৎ শ্যামা পূজার দিন সন্ধ্যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে স্বর্গীয় স্বজনদের স্মরণ করেন। একে বলা হয় দীপাবলি।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনাড়ম্বর পরিবেশের মধ্যদিয়ে তালা উপজেলার প্রত্যেকটা মন্দিরে কালিপূজা ও দীপাবলি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬ টার সময় কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির নির্দেশ ক্রমে ১৫ মিনিট ব্যাপী কাল কাপড় দিয়ে প্রতিমা ঘিরে সম্প্রতি দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিমা ভাংচুর সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।
তালা উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার জানান, এবছর বাদ্যবাজনা ছাড়াই অনাড়ম্বর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কালিপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় ২ শতাধিকের বেশি মন্দিরে সহ বাড়িতে বাড়িতে শ্যামা মায়ের অর্থাৎ কালিপূজা ও দিপাবলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কালি পূজাকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে আনন্দ ঘন পরিবেশ আর সাঁজ সাঁজ রব থাকার কথা এবছর সেটি আর নেই কোথাও।
সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির জানান, আসন্ন কালিপূজা অর্থাৎ শ্যামা পূজা ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপর্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসন তৎফর রয়েছে সব জায়গায়। কোথাও যেন কোন অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের টিম সবসময় কাজ করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে।