সিনিয়র প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সোসাইটি র নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে দায়ের করা মামলার পরবর্তী তারিখ আবারো পিছালো। এই মামলার নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার। এনিয়ে দু দফা মামলার তারিখ পিছিয়ে গেলো। সর্বশেষ মামলার তারিখ ছিলেন ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটির এবারের নির্বাচনে ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের দুজন সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বাতিল হওয়ার প্রেক্ষিতে তাদের মনোনয়ন বৈধতা এবং অপর একটি প্যানেলের সিনিয়র সহ সভাপতির মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবীতে রোববারের নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ জারি জন্য সংশ্লিটরা গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আদালতের স্মরণাপন্ন হন। মামলা দায়েরের পরদিন অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর শুক্রবার এই মামলার বিরুদ্ধে আপীলের ফলে আদালত ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার মামলার নতুন তারিখ ধার্য করেন। পরবর্তীতে মামলার নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছিলো ২৭ নভেম্বর। খবর বাপসনিউজ’র।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার নতুন তারিখের দিন ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদী-বিবাদী’র দুই এটর্নীর উপস্থিতে মাননীয় আদালত মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আগামী ৮ জানুয়ারী মঙ্গলবার। এদিন উভয় পক্ষের জবাব আদালত পর্যাবেক্ষণ করবেন ও শুনানী অনুষ্ঠিত হবে সংশ্লিষ্টরা বাপসনিউজ প্রতিনিধি-কে জানিয়েছেন।
গত ২১ অক্টোবর রোববার বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০১৯-২০২০) নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিলো। নির্বাচনে ‘রব-রুহুল’ ও ‘নয়ন-আলী’ এই দু’টি প্যানেল সহ কার্যকরী পরিষদের ১৯টি পদে ৩৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এজন্য নিউইয়র্কের ৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা সহ নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্ততিও ছিলো। এদিকে সোসাইটির নির্বাচন মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ায় এই নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে হতাশা বিরাজ করে অনেক প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে। অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অপরদিকে সোসাইটির ট্রাষ্টিবোর্ডের দুই সদস্যকে বোর্ডে রাখা না রাখা নিয়ে সোসাইটির অভ্যন্তরে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সোসাইটির বর্তমান সভাপতি কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন কমিটির সংখ্যাগরিষ্ট কর্মকর্তা ট্রাষ্টিবোর্ড সদস্য আলী ইমাম শিকদার-কে বহিষ্কার এবং অপর সদস্য কাজী আজহারুল হক মিলন-কে নোটিশ জারী করেছে। এব্যাপার সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ ও ট্রাষ্টিবোর্ড অতি সম্প্রতি যৌথ সভায় মিলিত হলেও এই সভার অফিসিয়াল কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
আরো উল্লেখ্য, সোসাইটির নির্বাচন বিষয়ে প্রথম আদালতের স্মরণপন্ন হন সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ওসমান চৌধুরী। তিনি গত সেপ্টেম্বর মাসে কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে একটি মামলা করেন (ইনডেক্স নং ৭৮৫০/২০১৮। ওসমান চৌধুরীর মামলা নিষ্পত্তি হতে না হতেই বাংলাদেশ সোসাইটি ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান এস এম জামাল ইউ আহমেদ এবং সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ-কে বিবাদী করে গত ১৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুইন্স সুপ্রীম কোর্টে মামলা করেন (ইনডেক্স নং ৭৮০৭/২০১৮) আলী আকবর, জিআর চৌধুরী ও শফিকুল ইসলাম নামের তিন সদস্য। এদের মধ্যে দুজন ‘নয়ন-আলী’ প্যানেলের সদস্য প্রার্থী ছিলেন, ত্রুটির কারণে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিলো।