সিনিয়র প্রতিনিধ: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার লোহাদী গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং কাপাসিয়া-ঢাকা সড়কের সূর্য নারায়ণপুরস্থ মেসার্স দ্বীন ফিলিং স্টেশন ও দ্বীন এলপিজি স্টেশনের মালিক মামুন সিরাজুল আলমের পিতা এম সাহাবুদ্দিনের জানাজা নামাজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নিজ বাড়ি আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তিনি গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহির রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ব্রেইন হ্যামারেজ জনিত কারনে মঙ্গলবার থেকে ওই হাসপাতালে লাইফসার্পোটে ছিলেন।খবর বাপসনিউজ।
যুক্তরাষ্ট্ এ বসবাসরত এম সাহাবুদ্দিনের নামাজে জানাজায় শরিক হয়ে রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, মরহুমের মেয়ের জামাতা জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, স্থানীয় বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউজ্জামান বাবলু, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ূব, মরহুমের স্বজন আজিজুল হক আরজু, আব্দুস সাত্তার, মহসীন, মিলন প্রমূখ।
স্থানীয় আমরাইদ শাখা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তফার পরিচালনায় জানাজা নামাজ পড়ান স্থানীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। এর আগে মরহুমের কনিষ্টপুত্র মামুন সিরাজুল আলম উপস্থিত মুসল্লিদের নিকট দোয়া প্রার্থণা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল আমীন সিকদার, সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক, বিএনপি নেতা সেলিম হোসেন আরজু, ফজলুল হক মাষ্টার, শাহীন রহমান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাজা নামাজে শরিক হন।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সমাজসেবক সাহাবুদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী ও ন্যায়-নিষ্ঠবান ছিরেন। সরকারি কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুতে আতœীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উর্ধ্বতণ কর্মকর্তা ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ পুত্র, ২ কন্যা, নাতী-নাতনী ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ, গত প্রায় দুই মাস আগে মরহুম সাহাবুদ্দিনের সহধর্মীনী ইন্তেকাল করেছেন। পিতা-মাতার মৃত্যুকালে দুই পুত্র স্বপরিবারে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। তারা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জানাজা নামাজে উপস্থিত সকলের নিকট ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থণা করেছেন।