নিজস্ব প্রতিবেদন: কখনও কাউকে ছোট করে দেখবা না, নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে। জুতো সেলাই করতে গিয়ে পা বাড়িয়ে দিও না, বরং জুতোটা নিজে একবার মুছে দিয়ো। জুতো কিনতে গেলে নিজের হাতেই জুতো পায়ে দিয়ে ফিটিং দেখো। কখনও কামলা, কাজের লোক, বুয়া বলে ডেকো না।
মনে রেখো তারাও কারও না কারও ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদের ভাই, আপা বলে ডেকো। পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো কিন্তু কারও ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেয়ো না, সে লজ্জা পেতে পারে। সবসময় দিতে চেষ্টা করবা। মনে রাখবা প্রদানকারীর হাত সর্বদা উপরেই থাকে। এমন কিছু করো না যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল উঠে। ছেলে হয়ে জন্মাইছো, দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা। তোমার কি আছে তোমার গায়ে লিখা নেই, কিন্তু তোমার ব্যাবহারে আছে।
কখনও মা কে শুনে বউকে এবং বউকে শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।যখন রাস্তায় হাটবে দেখে হাটবে, কেউ পড়ে গেলো কিনা। কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলেও বাসায় এক মুঠো ভাত খেয়ে যাবে। যাতে কারও বাড়ির ভাতের অপেক্ষায় না থাকতে হয়। কারও বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না,
কেউ খাবার অস্বাদু করার চেষ্টা করেনা।
বড়দের মাঝে তোমার চেয়ারটা বরাদ্দ নেই, আছে ছোটদের মাঝে। বড় হবার নয়, মানুষ হবার চেষ্টা করবা। তবেই বড় হবা। বাইক কখনও জোরে চালিও না, তাতে তোমার কলিজার কাপুনি বেড়ে যেতে না পারে, রাস্তার পাশে থাকা মানুষটার কাপুনি বেড়ে যেতে পারে।