সিনিয়র প্রতিনিধি: ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে পুতিন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেনে ৯০ টনের মতো সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে। যার প্রথম চালান এটি। ইউক্রেনের সম্মুখ সারির সামরিক সদস্যদের জন্য এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। যাতে রয়েছে বিপুল গোলাবারুদসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কিয়েভ সফরের পরই এ সহায়তা পাঠানো হলো। ওই সফরে তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদিও মস্কো আগ্রাসনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বছরের ডিসেম্বরে ২০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দেন। কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানায়, সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষার অধিকার ইউক্রেনের রয়েছে। যা আমেরিকা বিশ্বাস করে বলেও জানানো হয়।
এক ফেসবুক পোস্টে দূতাবাস জানায়, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালাবেন বলে ধারণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বাইডেন এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। তবে এ ধরনের কিছু ঘটলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে তবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ইউক্রেনে এক মাসরে মধ্যে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এরপরই বাইডেনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসে।
রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমরা ধারণা রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হবে। পুতিনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সে কিছু একটা করতে পারে।
তিন দশক আগে স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবারই। এর আগে ক্রিমিয়া দখল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও তা বেশি দূর গড়ায়নি।
কিন্তু এবার ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে দেশটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মস্কোর সেনা প্রেরণ বড় ধরনের উদ্বেগের সূচনা করে।