সিনিয়র প্রতিনিধি: নিউইয়র্কের বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ) বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মূলত: নির্বাচন ঘিরে সংগঠনের এই বিভক্তি। জেবিবিএ’র বিভক্তি নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। উদ্ভুত পরিস্থিতে একটি অংশ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করেছে। অপর অংশ আহবায়কস কমিটির মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে অপর একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছে।খবর বাপসনিউজ।
নব গঠিত ‘হারুন-ফাহাদ’ নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ’র নতুন কমিটি নির্বাচনের নামে অহেতুক ‘অর্থ অপচয়’ আর অর্থের বিনিময়ে তথা কথিত ব্যবসায়ী বানিয়ে সদস্য/ভোটার প্রক্রিয়া বন্ধে নির্বাচন নয় ‘সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি’ গঠন সহ প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী সংগঠন গড়ার প্রত্যয় গ্রহন করেছে। নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় এসব তথ্য জানিয়ে ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সাথে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সাংগঠনিক ভিত্তি আরো মজবুত করার কথাও বলেছেন জেবিবিএ নেতৃবৃন্দ। ফলে জেবিবিএ’র এই অংশের গঠনতন্ত্রে আমুল পরিবর্তন আসছে।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় আয়োজিত পরিচিত সভায় জেবিবিএ নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। এসময় তারা সংবাদ সম্মেলন করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন। উল্লেখ্য, দুই পর্বের এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপবিষ্ট অধিকাংশই জেবিবিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেবিবিএ’র আহবায়ক ও নতুন কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা মোহাম্মদ পিয়ার। এসময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জেবিবিএ’র নতুন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এম আজীজ, উপদেষ্টা মহসীন ননি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মন্টু, নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন ভূইয়া, বিদায়ী কমিটির সভাপতি আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল এবং বিদায়ী ও নতুন কমিটির কোষাধ্যক্ষ সেলিম হারুন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের পর ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট ২০২২-২০২৪ সালের নতুন কমিটির কর্মকর্তা এবং ১৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ এবং ১৫ জন পরিচালকদের পরিচয় করিয়ে দেন সভার সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার।