সিনিয়র প্রতিনিধি: এই প্রথমবারের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত এক অর্থনৈতিক মাইলফলক স্পর্শ করল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় দেনা বর্তমানে পৌঁছেছে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার- যা করোনা মহামারি শুরুর আগের মাস, ২০২০ সালের জানুয়ারির তুলনায় প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলার বেশি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহামারি পরিস্থিতিতে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা ও বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে মার্কিন প্রশাসন। অতিরিক্ত এই অর্থের সংস্থান করতে জাপান ও চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ধার করতে হয়েছে; ফলে বেড়েছে ঋণের পরিমাণও।
এছাড়া বিগত বছরসমূহের জমে থাকা ঋণ সম্পূর্ণ পরিশোধ না করাও দেনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
২০০৭ সালে ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা সামাল দিতে বহির্বিশ্ব থেকে ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার মেয়াদের চার বছর শেষে ঋণের পরিমাণ পৌঁছায় ২০ ট্রিলিয়ন ডলারে।
তারপর ২০২০ ও ’২১ সালে করোনা মহামারি ও বিধিনিষেধের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনীতি। দুই বছরের মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি হারান লাখ লাখ মানুষ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ আর্থিক লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন। উপদ্রুতদের আর্থিক সহায়তা দিতেই জো বাইডেনের আমলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ করার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেস।
এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, অতিরিক্ত ঋনের চাপে দেশে যেন মুদ্রাস্ফীতি দেখা না দেয়, সেজন্য ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো স্বল্পমেয়াদী ঋণে সুদ বাড়ানোর করার বিষয়ে ভাবছে মার্কিন সরকার। বর্তমানে এই সুদ প্রায় শূন্যের পর্যায়ে আছে।