বিশেষ প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটায় হরেক রকম ডিজাইন ও কালার পোশাক সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা ক্রেতাদের কেনাকাটায় জমে উঠেও উঠছে না ঈদ বাজার করোনায় প্রায় দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকায় শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলো করণা পরবর্তী সময়ে ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করছেন সকাল থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।
এতে করোনার লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন ব্যবসায়ীদের আশা তবে বরাবরের মত এবারও তৈরি পোশাকের বাড়তি দাম।
অভিযোগ ক্রেতাদের মেহেদি হাসান মুন্না বোনের জন্য গাউন ফ্রক নিতে আসছেন তিনি বলেন অন্যবারের থেকে এবার একটু দাম বেশি
পাটকেলঘাটা বাজার কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও আল্লাহর দান ক্লথ স্টোরের মালিক অহিদুর রহমান অহিদ বলেন, গত দুই ঈদে বেচাকেনা একদমই হয়নি। এবার করোনা না থাকায় নতুন নতুন পাঞ্জাবি লেহেঙ্গা শাড়ি থ্রিপিস পুষ্পরাজ থ্রি তোলা হয়েছে। আশা করছি এবার ব্যবসা ভালো হবে।
ইত্যাদি গার্মেন্টস দোকানি হুমায়ুন কবির মিলন,বেচাকেনার বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণরা কাকলী, সুলতান ও শাহরুখ ব্রান্ডের পাঞ্জাবি বেশি কিনছেন
বয়স্করা পাঞ্জাবি ফতোয়া লুঙ্গি বেশি কিনছেন। এছাড়া শিশুদের জন্য মটু পাতলু, গাট্টু বাট্টু ও টম অ্যান্ড জেরি কার্টুনের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পাঞ্জাবি ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাচ্চাদের পাঞ্জাবি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলেও জানান তিনি
পাটকেলঘাটা কাপড়ের আধুনিক মার্কেটখ্যাত জোড়া টাওয়ার রোড নয়ন বস্ত্রলয় দোকানি জয়দেব দাস বলেন, দোকানে পুষ্পা নামের শাড়ি দেখতে আসছেন তরুণীরা তবে পুষ্পা নামে আসলে কোনো ব্র্যান্ড নেই এটা একটা ট্রেন্ড মাত্র।
তিনি বলেন, লাল জর্জেট শাড়িতে সিল্কের সুতার ছোট ছোট ফুল দেওয়া শাড়িকে ক্রেতারা পুষ্পা শাড়ি বলছেন। তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা ওই ধরনের শাড়ি দেখাচ্ছি। এটা খুব বেশি দামের নয়। দুই হাজার থেকে শুরু করে চার হাজার টাকা মধ্যে ভালো মানের শাড়ি পাওয়া যায়।
পাটকেলঘাটা কামিনি বস্ত্রলয় কামরুল ইসলাম দোকানি বলেন শুধু শাড়ি নয় মেয়েদের কামিজের নামও আছে এই নামে।তিনি আরো বলেন রোজার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বেশি পুষ্পারাজ কামিজ বিক্রি করেছি।
পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তা কাউন্সিল রোডে একাধিক শাড়ির দোকানি বলেন, অভিজাত এবং বয়স্ক নারীরা তাঁত জামদানি সিল্ক টাঙ্গাইল সিল্ক টাঙ্গাইল তাঁত পাকিজা শাড়ি শাহী প্রিন্ট বেনারসি সিল্ক, মসলিন, জয়পুরা, খাদি জরজেট, গাদোয়াল ও কান্ডিবন ব্র্যান্ডের শাড়ি বেশি কিনছেন। এগুলোর দাম তিন থেকে শুরু করে আট হাজার পর্যন্ত।
পাটকেলঘাটা বাজারের দেব টেইলার্স মালিক মহাদেব দত্ত জানান বিগত দুই বছর করোনাকালীন সময় আমাদের না খেয়েও দিন পার হয়েছে এমত অবস্থায় আমরা ব্যবসা ভালো আশা করলেও তেমন সাড়া পাচ্ছি না মাঝামাঝি অর্ডার হচ্ছে।
ঈদ বাজারে তৈরি পোষাকের দোকানে ভিড় থাকায় এবার কাটা কাপড়ের দোকানে তেমন ভিড় নেই বলে জানান কাটা কাপড় ব্যবসায়ী
পাটকেলঘাটা জোড়া টাওয়ার রোডে কাটা কাপড় ব্যবসায়ী সোনালী বস্ত্রলয় দোকানি শফিকুল ইসলাম জানান গত দুই বছর করো করোনাকালীন সময়ে কোন বেচাকিনা নেই এবার কিছু মাল তুলেছে লাভ হচ্ছে না বিক্রিয় কম প্রতি পিস কাটা শাড়ি ৩৬০ টাকায় বিক্রি করছি অন্যান্য সময়ে যা বিক্রি হয়, ঈদের আগে তার থেকে বেশি কিছু বিক্রি হচ্ছে না।