বিশেষ প্রতিনিধি: তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে বিয়েকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাত নামা কয়েকজন মিলে পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হক বড় মেয়ে তামান্না খাতুন কে দাহ পদার্থ দিয়ে ৫ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেট্রোল বা এসিড দিয়ে কপোতাক্ষ নদীর তীরে জ্বালিয়ে হত্যার চেষ্টা ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী সকিনা বেগম জানায়। সাতক্ষীরা সদর থানার পুরাতন সাতক্ষীরা কবিরাজ বাড়ির মড়ের আবুল হক সরদারের ছেলে ফরহাদ সদ্দার দীর্ঘদিন আসা-যাওয়া করতেন এমত অবস্থায় এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের দিকে তামান্নার সাথে ফরহাদের বিয়ে হয়।
এর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী কলারোয়া থানার তুলসী ডাঙ্গা গ্রামের সাদ্দাম নামের এক যুবকের সাথে তামান্নার বিয়ে হয় কিন্তু মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম দুই বছরের ভিতরে দেশে আসেনি পরে তামান্না সাদ্দামকে ডিভোর্স দেয়।
আগুনে দগ্ধ তামান্নার ছোটবোন রুমানা খাতুন জানান।
আমার আপুর মুখমন্ডল আংশিক পুড়ে গেলেও বডি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে আমার আপু দুলাভাই ফরহাদ,একসাথে বাড়ির গেটের সামনে এসে মাকে বলতে থাকে মা আমাদেরকে জ্বালিয়ে দিয়েছে আমার সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে আমাকে বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকে।
এলাকাবাসী শেখ রবিউল ইসলামের ছেলে মিলন শেখ জানায়।
আপুর পরনে থাকা সালোয়ার-কামিজ ওড়না পায়জামা সহ পুরো শরীর পুড়ে ঝলসে গেছে ফরাদ দুলাভাইয়ের হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে আহত তামান্নার পিতা শেখ আব্দুল হক জানান।
প্রবাসী সাদ্দামকে আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় দেখে এসেছি আমার মেয়েকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এই সাদ্দাম পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মুমূর্ষ অবস্থায় দেখে খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। এঘটনায় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এলাকাবাসী প্রকৃত দোষী
ব্যক্তিদের শাস্তির আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার রায় জানান আমরা এই বিষয়ে অভিযানে আছি মামলা প্রক্রিয়াধীন চলছে।