বিশেষ প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় আশনির প্রভাবে সকাল ১০টা থেকে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় হালকা ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত ও হালকা দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে উপকূলীয় আশাশুনি ও শ্যামনগরের নদ-নদীগুলো উত্তাল রয়েছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উপকুলীয় এলাকার বেঁড়িবাধ। ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছে উপকূলবাসী। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আশনি’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টার সময় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ভার্চুয়াল মিটিং করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলীয় এ দু’টি উপজেলায় ২৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবেন। মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনা খাবার এবং ১ লাখ ৫০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ পর্যাপ্ত সুপেয় পানি। এছাড়া ২ হাজার ৯৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ৮৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আশনি’ ক্রমেই দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।