নীলফামারী প্রতিনিধি: দিনের পর দিন সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকদ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তি ও জুয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ৬নং পাংগা মটুকপুর ইউনিয়নে বিশেষ করে ইউনিয়নটির ১,২,ও ৩নং ওয়ার্ডে দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদকদ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তি ও জুয়া খেলোয়ারের সংখ্যা।তারা নিজেরা ভুলবশত নিজেদের ক্ষতির পাশাপাশি সমাজের ক্ষতি ডেকে আনছে। মাদকদ্রব্য সেবন কারী ব্যক্তি দিনের বেলা কিংবা রাতের আঁধারে যেখানে সেখানে মাদকদ্রব্য সেবন এর পাশাপাশি জুয়াখেলায় লিপ্ত হচ্ছে, যেখানে সেখানে হাট বাজারেও চলছে ধুমধারাক্কা জুয়ার আসর। এতে করে পরিবারে নেমে আসছে অন্ধকারের কালো ছায়,তারা নিজেরা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি যুব সমাজকে নষ্টের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তারা জানেনা মাদকদ্রব্য কি এটা তাদের কি ক্ষতি করতে পারে।
আসলে
মাদক বা ড্রাগস হলো বিষধর সাপের বিষাক্ত ছোবলের মতো যা প্রতিনিয়ত একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে তার দংশনে নিঃশেষ করে দেয়। যার প্রভাব আমরা আমাদের যুব সমাজে বেশি দেখতে পাই। কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি? যুব সমাজের এই পরিণতির জন্য অনেকাংশে দায়ি শুধুমাত্র মাদক দ্রব্য এবং মাদকাসক্তি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান না থাকা!
ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) বলেছে, মাদক গ্রহনের ফলে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও এই ক্ষনস্থায়ী স্বস্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ফাঁদ। ফাঁদে একবার জড়ালে স্বাস্থ্যহানি ঘটে, সৃজনীশক্তি শেষ হয়ে যায়। ‘স্বাস্থ্যহানি’ বলতে কেবল দৈহিক স্বাস্থ্যের কথা বলা হচ্ছে না। দেহের পাশাপাশি বিশৃঙ্খল ও বিধ্বস্ত হয়ে যায় মনের স্বাস্থ্য, পুড়ে যায় আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক চিত্রে নেমে আসে দুর্যোগ।
তাইতো এলাকাবাসীর আহ্বান যেভাবে দিনের-পর-দিন মাদকদ্রব্য ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবন ও জুয়া খেলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে দেশ রসাতলে যাবে, ধ্বংস হবে যুবসমাজ।
তাইতো যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে।
সফল হউক চেয়ারম্যানের সু সপ্নগুলো,
বর্তমান বাংলাদেশে জুলুম অত্যাচার, সুদ ঘুষ, বাল্য বিবাহ, মাদক সেবন জুয়া সহ সকল অনিয়মকে রুখে দাড়াতে দেশে মুখে মুখে আইনের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা,
আর এসময় একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যখন স্বপ্ন দেখেছিলেন যে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা, সুদ ঘুষ বাল্যবিবাহ মাদক সেবন জুয়া সহ সকল অনিয়ম মুক্ত করে ইউনিয়েনর জনগণকে উপহার দেবে তখনই হবে সোনার বাংলার একটি সোনার ডিজিটাল ইউনিয়ন,তারই সে সপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে ইউনিয়নের সচেতন মহল চেয়ারম্যান ও ডোমার থানা প্রশাসনের দৃষ্টির কামনা করছে।
তাই দ্রুত চেয়ারম্যান সহ উপজেলা প্রশাসনের শুদৃষ্টি কামনা করেন ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক।