নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর জলঢাকায় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগের ১২ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তাকে জলঢাকা কলেজ মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালন গ্রামের হালিনুর রহমানের ছেলে সাহাদাত হোসেন সাজু (৩২) একই গ্রামের হতদরিদ্র এক ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে ধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই ছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার বয়স জন্ম সনদ অনুযায়ী ১১ বছর।
ওই ছাত্রীর পরিবার জানায়,ভাল রেজাল্ট পাইয়ে দেয়ার কথা বলে আমাদের গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন পাঠাগারে প্রাইভেট পড়াতেন ধর্ষক সাহাদাত হোসেন সাজু। পড়ানোর ফাঁকে সাজুর লালসার শিকার হয় শিশুটি। জিম্মি করে মেয়েটিকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন করে লম্পট সাজু। শিশুটি লজ্জা ও ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। এ অবস্থায় শিশুটির শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে স্থানীয় একটি ক্লিনিক হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হয় মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি প্রকাশ পেলে এলাকায় কানাঘুষার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে রোববার রাতে শিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলার রাতেই ধর্ষককে না পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের বোন জামাইকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার তথ্যের ভিত্তিতে ওসি ফিরোজ কবির এর নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ১২ ঘন্টার মধ্যে কলেজ মোড় এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আলমাস হোসেন জানিয়েছেন,ধর্ষক সাহাদাত হোসেন সাজুকে গ্রেফতার করেছি।
জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির বলেন,ধর্ষন অভিযোগের ১২ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।