1. admin@dainikbangladeshtimes.com : rony :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পাটকেলঘাটায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আমলকি খাবেন কেন? ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারীর নিহত। ডিবি থেকে হারুনকে বদলি পাটকেলঘাটা বাজারে জলাবদ্ধতা সমাধানে পরিদর্শন করলেন এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ” জগৎ বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ পাটকেলঘাটায় মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতাসহ আটক ৪ নগরঘাটা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপিকে সংবর্ধনা আশাশুনির সাংবাদিক বাহাবুল সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাসেল ভাইপারে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতায় বেশি প্রয়োজন

ষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন রীতি পালিত হয় দুর্গা পূজার আরাধনায়

সাংবাদিক নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্গাপুজোর পাঁচ দিনে একাধিক নিয়মনীতি পালনের মাধ্যমে দুর্গার আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে।

বোধন- দুর্গা পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন থেকে। মনে করা হয় যে, শরৎকালে দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন রাম। রাবণকে পরাজিত করার জন্য দশভূজার আশীর্বাদের কামনায় তিনিই এ সময় দুর্গা পুজো করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। ষষ্ঠীর দিনে এ ছাড়াও আরও অন্যান্য অনেক নিয়ম-আচার পালিত হয় ও সকলকে রীতিনীতি মেনে দুর্গার আরাধনার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন।

নবপত্রিকা স্নান- এই রীতি বাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজের শিকড়ের দিকেই ইঙ্গিত করে। সপ্তমীর দিন এই রীতি পালিত হয়। এ দিন একটি ছোট কলাগাছের সঙ্গে আরও ৮টি গাছের পাতা বেঁধে তা স্নান করানো হয়। এগুলির মধ্যে কলাগাছটিই স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় বলে এই নিয়মকে অনেকে কলাবউ স্নানও বলে। ৯টি গাছের পাতা শক্তির ৯টি রূপকে তুলে ধরে— ব্রহ্মাণী (কলা), কালিকা (কচু), দুর্গা (হলুদ), কার্ত্তিকী (জয়ন্তী), শিব (কৎবেল), রক্তদন্তিকা (বেদানা), শোকরহিতা (অশোক), চামুণ্ডা (ঘটকচু), লক্ষ্মী (ধান)। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকাকে স্নানের জন্য নদী বা জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে সেটিকে গণেশের পাশে প্রতিস্থাপিত করা হয়।

অঞ্জলি- পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে দুর্গার প্রতি নিজের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা। সাধারণত সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি হয়, তবে অষ্টমীর অঞ্জলিকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণের পর হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা মহিষাসুরমর্দিনীর চরণে অর্পণ করার রেওয়াজ আছে।

কুমারী পুজো- অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো করা হয়। এদিন বাচ্চা মেয়েদের দুর্গার মর্যাদা দিয়ে, দুর্গারূপে তাদের পুজো করা হয়।

সন্ধিপুজো- অষ্টমীর সমাপ্তি ও নবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজো হয়। এই সময় দুর্গা চণ্ড-মুণ্ড বধের জন্য তাঁর চামুণ্ডা স্বরূপ ধারণ করেন। এ সময় ১০৮টি প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। এককালে এদিন পশুবলি দেওয়া হত, তবে বর্তমানে সবজি বলি দেওয়া হয়।

ধুনুচি নাচ- এক কালে ধুনুচি নাচে পুরুষরা পারদর্শী হলেও, বর্তমানে মহিলারাও সমান পারদর্শীতার সঙ্গে এই নাচে অংশগ্রহণ করেন। নবমীর দিনে ঢাকের তালে তাল মিলিয়ে ধুনুচি নাচে মেতে ওঠেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে। হাতে ধরে তো বটেই, অনেকে মাথায় রেখে বা দাঁত দিয়ে চেপেও ধুনুচি নাচের আসর জমাতে পিছ পা হন না।

সিঁদূর খেলা- পিতাগৃহে ছুটি কাটিয়ে দশমীর দিন পতিগৃহে রওনা দেওয়ার আগে উমাকে বরণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। দশমীর দিন দুর্গাকে সিঁদূরে রাঙিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে, পান, ধান, দূর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। উমার বরণের পরই সধবা মহিলারা মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়।< বিসর্জন- উৎসবের পর এবার বিদায়ের পালা, সময় কৈলাস গমনের। বনেদি পরিবারের দুর্গার মূর্তি কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার চল এককালে থাকলেও, বর্তমানে ট্রাকই ভরসা। এর পর নদী ধারে পৌঁছে নৌকায় করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। বিজয়া- শারদীয়া উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করে বিজয়া। বিজয়ার দিনে ছোটরা বড়দের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয়। সমবয়সিরা কোলাকুলি করে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়। মিষ্টির আদানপ্রদানও হয় এ সময়।

এই সংবাদ টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
আমাদের এই খানে প্রকাশিত সংবাদ সম্পুর্ন আমাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া। কোনো প্রকার মিথ্যা নিউজ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না সম্পুর্ন দায়ী থাকবে নিউজ প্রেরণ কারী সাংবাদিক।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It
error: Content is protected !!