নিজস্ব প্রতিনিধি:-
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী আজ বুধবার। মহা অষ্টমী পূজার মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও মহা অষ্টমীতে। বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।
দুর্গাপূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কুমারী পূজা। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কুমারী পূজা কেন করা হয়, এ প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলেছেন, সব স্ত্রী লোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে উঠবে পুত-পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। প্রত্যেকে শ্রদ্ধাশীল হবে নারী জাতির প্রতি। ১৯০১ সালে ভারতীয় দার্শনিক ও ধর্ম প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্বপ্রথম কলকাতার বেলুড় মঠে নয়জন কুমারী দিয়ে এ পূজার মাধ্যমে এর পুনঃপ্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা হয়ে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়াও নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে।
শনিবার ছিল দুর্গোৎসবের মহা সপ্তমী। সারা দেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহা সপ্তমী। নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে মহাশক্তি আনন্দময়ীর পূজা শুরু হয়। মহা সপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলোটি উপাদানে দেবীর পূজা হয়। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয়। সেই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধুপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন ভক্তরা। সকালে পূজা শুরু হলেও দুপুরের পর থেকে মণ্ডপগুলোতে ঢল নামে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই নন, সব ধর্মের দর্শনার্থীরাই মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দেখতে ভিড় করেন। পূজাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেলায়ও ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যও নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এসব মন্দিরে যেমন ঢাকেশ্বরী মন্দির, জগন্নাথ হল, রমনা কালীবাড়ি, কলাবাগান, গুলশান, বনানী, বারিধারা, ডিওএইচএসসহ রাজধানীর বিভিন্ন মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।