ডেস্ক নিউজ:
বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আজ ০১ নভেম্বর, দুপুর ১২টায় ঢাকা-১১ আসনে বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, বেড়িবাধে যুবলীগের অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
ঢাকা-১১ আসনে বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-বিএনপি সংগঠনটি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে পলাতক আসামী তারেক রহমান দ্বারা। আমি একটি কথা অনেক দিন ধরে বলছি- যে তারেক রহমান কোন রাজনৈতিক নেতা না। রাজনৈতিক নেতা যদি হতো তাহলে সে অনেক আগেই দেশে চলে আসতো। সে ভূয়া এবং প্রতারক। সে এদেশের যুব সমাজ, তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করছে; তাদেরকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। কোন রাজনৈতিক নেতার কোন আন্দোলন, কোন সংগ্রাম সফল হয় না যদি নেতৃত্ববিহীন থাকে। আজকে তাদের প্রতারণার চেহারা, তাদের সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন-আপনারা দেখেছেন, তারা কিভাবে অপপ্রচার এদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতির মধ্যে তারা সেই ’৭৫ সালের পর থেকে ঢুকানোর চেষ্টা করেছে এবং আজকেও তারা অপপ্রচার আর মিথ্যাচারের উপর ভর করে রাজনীতি করছে। সেটা আজকে দিবালোকের মত পরিষ্কার। বিশেষ করে তাদের নেতা তারেক রহমান এদেশের অর্ধশিক্ষিত, ধর্মভীরু মানুষের উপর ভর করে এদেশে মিথ্যাচারের মাধ্যমে, সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করছে। রাজনীতিবিদরা মানুষের অধিকার আদায় করে সংগ্রামের মাধ্যমে, যে রাজনৈতিক পথ রাজনীতিবিদরা অনুসরণ করে এবং গণমানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে স্পৃহা দেখায় সেটা দেখাবার বিএনপির বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছাও নাই, বাসনাও নাই এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে তাদের কোন চিন্তা-ভাবনাও নাই, কারণ এই দলটা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সৃষ্টি। তাদের কাছ থেকে আশা করাটাই দুরাশা। সুতরাং সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে এদেশের সাধারণ মানুষকে বলতে চাই-আপনারা এই ভণ্ড, প্রতারকদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী নেতারা দেশের উন্নয়নে প্রশংসা করছে। এদেশের মধ্যে শান্তি ও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিরাজ করছে। আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামাত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের ভিন্ন মতাদর্শী ও সংখ্যালঘুদের উপর কিভাবে অত্যাচার করেছে। তার প্রমাণ আপনাদের সবার কাছেই আছে। জামাত-বিএনপির মূল উদ্দেশ্য এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করা এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। কারণ তাদের সাথে যাদের বন্ধুত্ব, তাদের দোসর যারা, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই চায় নাই। সুতরাং তারা কিভাবে এদেশের মঙ্গল করবে? তাই তারা ঐ জামাত-শিবির সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, সংবাদ মাধ্যম ও বিচার বিভাগ বিএনপি-জামাতের চক্ষুশুল। এর আগেও তারা বিচারালয়ে, সাংবাদিক বন্ধুদের ও পুলিশের উপর হামলা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই উদ্দেশ্য পুলিশ বাহিনীর জন্য সফল হচ্ছে না বিধায় তারা বার বার পুলিশের উপর হামলা করছে। তিনি উপস্থিত যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সজাগ ও সচেতন থাকবেন- এই বিএনপি-জামাত মাঠে নামলে সাধারণ মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক বন্ধু ও বিচার বিভাগ কেউ নিরাপদ না। সুতরাং আপনাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে যাতে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয় এবং আমাদের সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে। তাই বিএনপি-জামাত অবরোধ দিলে আমাদেরকেও রাজপথে অবস্থান নিতে হবে এটা আমাদের অধিকার, সাধারণ জনগণের অধিকার।
ঢাকা-১৪ আসনে গাবতলী, বেড়িবাধে যুবলীগের অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন। আপনারা দেখেছেন গত ২৮ তারিখ থেকে এই সন্ত্রাসীরা কিভাবে সারা দেশে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে রেহায় পায় নাই আমাদের দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য। বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা কি নির্মমভাবে পিটিয়ে পুলিশ ভাইকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় তারা মসজিদে আগুন দিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আগুন দিয়েছে। এটাই তাদের আসল চেহারা। তারা এদেশের মানুষকে চায় না তারা শুধু ক্ষমতা চায়। এই জন্যই সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতি করার জন্যই অবরোধ দিয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই-সাধারণ জনগণকে নিয়ে আমরাও মাঠে আছি। যেখানেই এই বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী পাওয়া যাবে সেখানেই সাধারণ জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করবো। যুবলীগ রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে বিএনপির যে কোন ষড়যন্ত্র রাজপথেই প্রতিহত করবে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ আসনের কামরাঙ্গীরচর হাসপাতালে মাঠ, ঢাকা-৪ আসনের ধোলাইপাড় মোড়, ঢাকা-৫ আসনের শনিরআখড়া-দনিয়া, ঢাকা-৬ আসনে ভিক্টোরিয়া পার্ক, ঢাকা-৭ আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে, ঢাকা-৯ আসনে কমলাপুর স্কুলের সামনে, ঢাকা-১০ আসনে ধানম-ি-৩২ নম্বরে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১২ আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইটে, ঢাকা-১৩ আসনে শ্যামলীতে, ঢাকা-১৪ আসনে গাবতলীতে, ঢাকা-১৫ আসনে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে, ঢাকা-১৬ আসনে মিরপুর-১১ বাসস্ট্যান্ডে, ঢাকা-১৭ আসনে মহাখালী কাঁচা বাজারে ও ঢাকা-১৮ আসনে আজমপুর উত্তরায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
এসময় বিভিন্ন আসনে উপস্থিত ছিলো- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জহুরুল ইসলাম মিল্টন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আবদুল হাই, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।