পটুয়াখালী প্রতিনিধি: আজ১৯শে আগস্ট থেকে আপনার আনন্দ ভ্রমন হোক কুয়াকাটায়, ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা, স্থানীয়দের মুখে আনন্দের হাসি দেখা গিয়েছে, সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য,পর্যটনকেন্দ্র-রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।
সবি সরকারি নিয়ম মানতে ইচ্ছুক কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। টানা ১৩৯ দিন বন্ধ থাকার পর আজ ১৯ আগষ্ট কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দরজা খুলছে। পহেলা এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার ঘোষণায়, নতুন রূপ নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটা, রঙিন সাজে সজ্জিত হয়েছে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলো। নতুন করে সাজিয়ে নিচ্ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
করোনা পরিস্থিতির কারণে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন গত ১ এপ্রিল থেকে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে। শুন্য হয়ে পড়ে এখানকার প্রায় দেড়শ আবাসিক হোটেল-মোটেল। বন্ধ হয়ে যায় পর্যটনকেন্দ্রিক সব ব্যবসা-বাণিজ্য। শুন্যতা নেমে আসে কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হেয়ছে। দেশের সকল সেক্টরে অনুদান থাকলেও এই ট্যুরিজম সেক্টরে কোন অনুদান না থাকায় অসহায় হয়ে পরছেন অনেক ব্যবসায়ীরা।
অবশেষে সব বিপদ কাটিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এদিকে গেছে কাল সন্ধ্যার দিকে কুয়াকাটা পৌর মেয়র, আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটন ব্যবসায়ীসহ পর্যটকদের পৌরসভার পক্ষ থেকে সকল ধরনের পজেটিভ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট ও বিনোদনকেন্দ্র আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ ব্যবহার করে চালু করতে পারবেনা।
করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। রাত ৮ পরে সীবিচে কেউ ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। এর ব্যত্যয় যাঁরা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে