মাসুদ আলম চয়ন,মৌলভীবাজার: বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে একটা পজিটিভ পরিবর্তন নিয়ে আসার পাশাপাশি শিক্ষা সেক্টরকে নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে Association for Social Contribution and Educational Development সংক্ষেপে (Ascend)।
১০ অক্টোবর ২০২০খ্রী. এই স্টার্টআপ যাত্রা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাত ধরে।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও শামীম হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠন করার পরে একটা সময় এসে তার মনে হয়েছে এই সংগঠনগুলোতে কিছু একটা মিসিং আছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের আসলেই যে বিষয়গুলো প্রয়োজন সেটি পাচ্ছে না। যেখানে অধিকাংশ সংগঠন শুধুমাত্র নিজেদের প্রমোশন ও সম্মান ধরে রাখতে কাজ করছে সেখানে তার চিন্তা ছিল এমন কিছু করার যেখানে এই শিক্ষার্থীগুলো আসলেই প্রকৃত শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা পাবে।
অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে জব এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবে, থিওরিটিক্যাল শিক্ষা এবং প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষা দুটি সমান গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবে। এর পাশাপাশি যাতে জব মার্কেট সম্পর্কে ধারণা পায় এবং সেই অনুযায়ী নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে। শুধুমাত্র সরকারি চাকরি কিংবা বিসিএস একমাত্র ডেস্টিনেশন হতে পারে না, এই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে। কর্পোরেট জব এবং উদ্যোক্তা হওয়ার দিকে যাতে তাদের ঝোঁক বৃদ্ধি পায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে তারা যেন চিন্তা করতে পারে।
নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন থেকে স্টার্টআপ মর্যাদা লাভের রহস্য জানতে চাইলে তিনি আমাদের জানান “অনেক বিষয় চিন্তা করে সর্বপ্রথম কিছু ছেলেপেলে নিয়ে আমি সংগঠনটির প্রাথমিক রূপ দাঁড় করাই। শুরু করেই স্টার্টআপ হিসেবে নিজেদেরকে আত্মপ্রকাশ করি নি বরং চেষ্টা করি আর পাঁচটা ক্লাবের মত করে অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাকচার ডেভলপ করতে।
এক কিংবা দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে সবার কাছ থেকে পজিটিভ ফিডব্যাক পেতে থাকি। মূলত সবাই চিন্তা করছিল কিছুদিন আগে আমি যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেছি তাদেরকে বিট করতে তাদের মতো করেই এই সংগঠনটি শুরু করেছি। তবে তারা জানত না আমার পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। না বোঝাই স্বাভাবিক, শুরুর দিকেই এরকমভাবে পুরো উদ্দেশ্যটা উপস্থাপন করতে পারাটা অবশ্যই জটিল।
কারন আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছোট ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করলে তা কখনোই সম্ভব না বা মাত্র ৫/১০ জন মানুষ নিয়ে কাজ করলে এক্ষেত্রেও সাকসেস করা সম্ভব না। তাই অপেক্ষা করতে থাকি সুযোগের যখন আমি নিজেকে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানকে তার আসল রূপে উপস্থাপন করতে পারব।
আমি সুযোগ খুঁজছিলাম ঐ সুযোগটা আমাকে প্রদান করে ‘বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি’ (যেটি দেশের আইসিটি বিভাগের অংশ)। এই সুযোগটা পাওয়ার ফলেই আজকে আমার প্রতিষ্ঠানটি স্টার্টআপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছে ৷ ফাইনালি জুন মাসের ১ তারিখে তারা আমাদেরকে অফিশিয়ালি অফিস বুঝিয়ে দেয় এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা প্রদানের প্রতিজ্ঞা করে।”
এই জন্য হাইটেক পার্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং ধন্যবাদ জানান প্রতিষ্ঠানটির সিইও ।