1. admin@dainikbangladeshtimes.com : rony :
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
পাটকেলঘাটায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আমলকি খাবেন কেন? ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারীর নিহত। ডিবি থেকে হারুনকে বদলি পাটকেলঘাটা বাজারে জলাবদ্ধতা সমাধানে পরিদর্শন করলেন এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ” জগৎ বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ পাটকেলঘাটায় মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতাসহ আটক ৪ নগরঘাটা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপিকে সংবর্ধনা আশাশুনির সাংবাদিক বাহাবুল সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাসেল ভাইপারে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতায় বেশি প্রয়োজন

অর্ধাঙ্গিনী, সুরাইয়া মাহমুদ

সাংবাদিক নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

লেখক: এইতো কিছুদিন আগের কথা। ঘুমাতে যাবো এমন সময় তিনি খুব ঘটা করে জিগ্যেশ করেছিলেন,” আচ্ছা আমি যদি তোমার আগে মরে যাই তাহলে কি হবে?” সেদিন বাচ্চাদের মতো কান্নাজুড়ে দিয়ে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম আর কখনো এইসব কথা বলবেনা । তুমি জানোনা আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারিনা! তোমার বুকে মাথা না রাখলে ঘুম হয়না আমার। তুমি জানোনা?

তিনি প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, জানি রে পাগলী। আমিও যে তোমাকে ছাড়া থাকতে পারিনা। বলোতো তোমাকে ছাড়া একদিন ও থেকেছি বিয়ের পর থেকে? নাহ থাকোনি।

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেদিন প্রশ্নটা তিনি করেছিলেন। আর আজ আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। মৃত্যু আজ আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ধীরে ধীরে সময় হয়ে আসছে মহান প্রভুর সাথে মুলাকাতের। একদিকে যেমন রবের সাথে মিলিত হওয়ার খুশি অন্যদিকে প্রিয় মানুষটিকে ছেড়ে যাওয়ার বেদনা। এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখের কোণা দিয়ে গড়িয়ে পড়লো নোনা পানির স্রোত। অঝর ধারায় হতে লাগলো বারিবর্ষণ। থামার কোনো নামগন্ধও নেই।এক অদৃশ্য বেদনা কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে ভেতরটা।

আচ্ছা উনি কি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন? আমাকে কি ভুলে যাবে প্রিয় মানুষটি যার সাথে মৃত্যুর আগপর্যন্ত থাকার কথা ছিলো আমার?
তাকে অন্য মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারতাম না আমি।তাকে সবসময় বলতাম শোনো! আমার শরীরটা কেটে লবণ, মরিচ লাগাবা,তারপরও অন্যকোনো মেয়ের সাথে কথা বলবানা, আমার একদম সহ্য হয়না। তিনি হেসে বলতেন,ওকে বস! যা বলবেন।

তিনি হয়তো জানেন না যে আমার ফোনে তার নাম্বারটা My Oxygen লিখে সেভ করা। আমি যখন হারিয়ে যাবো তখন হয়ত তিনি দেখবেন। খুব কষ্ট হবে হয়তো তার। আমি যদি পারতাম থেকে যেতাম তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। আমি যে তাকে কাঁদতে দেখতে পারবোনা। অনেক দিন আগে বলেছিলাম, এই শোনো! আমার জানাযাটা তুৃমি পড়াবা ওকে? তিনি বলেছিলেন “আমি…. আমি পারবো! খুব কষ্ট হয়ে যাবে তো আমার। আমি পারবোনা সহ্য করতে।” খুব কেদেছিলেন তিনি সেদিন। দেখতে দেননি আমাকে। তবে আমি তো বুঝেছিলাম।

আর কেউ কি বলবে তাঁকে এই কথাগুলো? জানিনা। তাকে খুব বেশি ভালোবাসি। আমি আজ বাকরুদ্ধ। তাকে ভালোবাসি কথাটা বলতেও মুখে আটকাচ্ছে। অসুস্থতা জেঁকে বসেছে আমার শরীরে। মনে হচ্ছে চিৎকার করে বলি, ❝আমি আর কিছুটা সময় বাঁচতে চাই। আমার বরটার জন্য। আমি আরো কিছুটা সময় কাটাতে চাই তার সাথে। আর অভিমান করবোনা তার সাথে। তাকে আর কখনো কষ্ট পেতে দিবোনা আমি। শুধু শুধু রাগ করে আর কষ্ট দিবোনা তাকে। যতটুকু কম ভালোবেসেছি তার সবটুকু দিতে চাই আমি।❞

কিন্তু আমার যে আর সময় নেই, চলে এসেছে বিদায় লগ্ন!
অনন্তপথে যাত্রার কিছু অনুভূতির অগোছালো প্রকাশ।

এই সংবাদ টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
আমাদের এই খানে প্রকাশিত সংবাদ সম্পুর্ন আমাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া। কোনো প্রকার মিথ্যা নিউজ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না সম্পুর্ন দায়ী থাকবে নিউজ প্রেরণ কারী সাংবাদিক।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It
error: Content is protected !!