নিজস্ব প্রতিবেদন: আপনি যদি সঠিক নেতা নির্বাচন ও তার সংস্পর্শী হন তবে এই গুনগুলো অনুশরন করুন।আর আমাদের বর্তমান নেতা ও তার নেতৃত্বধারীর জানা উচিত আপনি একজন মুসলীম হিসেবে আপনার নেতৃত্ব ইসলাম সম্মত প্রকৃয়ায় হচ্ছে কিনা এবং নেতৃত্বদান করার পর আল্লাহপাকের অসুন্তষ্টির শিকার হচ্ছেন কিনা এমন আদর্শিক বিচ্যুতির কারনে সেদিকে আপনারাও মনোযোগী হয়ে নেতৃত্বদান কল্যান ও মঙ্গল বয়ে আনবে।
নেতা কঠিন হবে না : আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, ‘হে নবী! আপনি যদি কর্কশভাষী, রূঢ় প্রকৃতির ও কঠোর স্বভাবের হতেন তবে লোকেরা আপনার আশপাশ ছেড়ে তারা চলে যেত।’ (সুরা ইমরান : ১৫৯)।
নেতা স্নেহশীল হবে : নবী করিম (সা.) এর বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, ‘তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসুল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তাঁর পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মোমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।’ (সুরা তাওবাহ : ১২৮)।
নেতা ধৈর্যশীল হবে : কোরআন মজিদে আরও এরশাদ হয়েছে, ‘তারা ক্ষতিগ্রস্ত নয় যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্য ধারণে পরস্পরকে উদ্বুদ্ধ করে।’ (সুরা আসর : ৩)।
নেতা হিতাকাক্সক্ষী হবে : হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘সাহাবা (রা.) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সাকিফ গোত্রের তিরগুলো আমাদের শেষ করে দিল। আপনি তাদের জন্য বদদোয়া করুন। তিন এরশাদ করেন, আয় আল্লাহ সাকিফ গোত্রকে হোদায়ত দান করুন।’ (তিরমিজি : ৩৯৪২)।
নেতা হিতাকাক্সক্ষী হবে : হজরত জাবের (রা.) বলেন, ‘সাহাবা (রা.) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সাকিফ গোত্রের তিরগুলো আমাদের শেষ করে দিল। আপনি তাদের জন্য বদদোয়া করুন। তিন এরশাদ করেন, আয় আল্লাহ সাকিফ গোত্রকে হোদায়ত দান করুন।’ (তিরমিজি : ৩৯৪২)।
নেতা পরামর্শ করে চলবে : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) অপেক্ষ অধিক নিজের সাথিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে আমি কাউকে দেখিনি।’ (তিরমিজি : ১৭১৪)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি পরামর্শ করে, সে সোজা পথের ওপর থাকে। আর আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি পরামর্শ করে না সে চিন্তাযুক্ত থাকে।’ (বায়হাকি : ৬/৭৬)।
নেতা সুসংবাদ শুনাবে : হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, লোকদের সঙ্গে সহজ আচরণ কর এবং তাদের সঙ্গে কঠিন আচরণ করো না। সুসংবাদ শুনাও এবং তাদের বিমুখ করবে না।’ (বোখারি : ৬৯)।
নেতৃত্বের লোভ থাকবে না : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা নেতৃত্বের লোভ পোষণ কর, অথচ কেয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে। কতই উত্তম দুগ্ধদায়িনী এবং কতই না মন্দ পানে বাধাদানকারিণী।’ (অর্থাৎ নেতৃত্বের শুরু দুধ পান করার মতো আর শেষ দুধ ছাড়ার মতো কষ্টকর)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহর কসম! আমরা এসব বিষয়ে এমন কোনো ব্যক্তিকেই নেতা বানাব না, যে নেতা চায় অথবা তার খায়েশ রাখে।’ (মুসলিম : ৪৭১৭)।
সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজে নিষেধ করবে : হজরত জারির বিন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যদি কোনো কওম বা জামাতের মধ্যে কোনো ব্যক্তি কোনো গোনাহের কাজে লিপ্ত হয় এবং ওই কওম বা জামাতের মধ্যে শক্তি থাকা সত্ত্বেও তাকে ওই গোনাহ থেকে বাধা না দেয়, তাহলে মৃত্যুর আগে দুনিয়াতেই তাদের ওপর আল্লাহর আজাব এসে যায়।’ (আবু দাউদ)।
নেতার জন্য হুঁশিয়ারি : হজরত মা’কেল ইবনে ইয়াসার (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.) কে এরশাদ করতে শুনেছি, যে নেতা মুসলমানদের বিষয়গুলোর জিম্মাদার হয়ে মুসলমানদের কল্যাণ কামনায় চেষ্টা করবে না, সে মুসলমানদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (মুসলিম : ৪৭৩১)।