বিশেষ প্রতিনিধি: পথশিশু হিসাবে পরিচিত রজব আলী (১০) গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নকশীকাঁথা মেইল ট্রেনে কুষ্টিয়া আসার সময় চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে দুই হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু তার হাতে বিচ্ছিন্ন হয়নি তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে সেই সাথে তার মুখে মধ্যেও দাঁতগুলো ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে গেছে। তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে।
সহায় সম্বলহীন পথশিশুর চিকিৎসা সহ সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পঞ্চম বর্ষের এক ছাত্র তার নাম অপু হোসেন। এই অপু হোসেন দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া শহরে পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা মির্জানগরে। অপুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রবিবার থেকেই সে আহত শিশুটির সার্বিক খরচ বহন করে চলেছেন।
সে আরো বলেন, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, কেউবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে, ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছি সেটা দিয়েই আমরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। গত মঙ্গলবার রাতে সরেজমিনে আহত পথশিশু রজব আলীকে দেখতে গিয়ে অপুর মুখ থেকে সব শুনতে পাই।
এই পথশিশু রজব আলীর হাসপাতালের বারান্দায় কাতরানো ছবি দেখে প্রবাসী জয় নেহালের স্কুলপড়ুয়া ছেলে ফাহিমের হৃদয় কেঁপে ওঠে।
তখন ফাহিম তার বাবাকে বলে বাবা আমি জন্মদিনে যে টাকা পেয়েছিলাম ওই টাকাটি তুমি ওই রজব আলীর চিকিৎসার জন্য দিয়ে দাও। তার সুচিকিৎসার জন্য টাকার খুব প্রয়োজন টাকা ছাড়া কোনো চিকিৎসা হবে না। সেই মতে আমরা জয় নেহালের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে অপু হোসেনের হাতে ছেলে ফাহিমের জন্মদিনের উপহারের অর্থ তুলে দেওয়া দিই। ওই সময় জয় নেহাল, অপু ও আহত রজব আলীর সাথে ভিডিও বার্তায় সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন।
রজব আলীর সুচিকিৎসার জন্য আরো অনেক অর্থের প্রয়োজন। সমাজের বিত্তবান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিল্পপতি ও রাজনীতিবিদদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রবাসী জয় নেহাল। তার সহযোগিতার জন্য অপু হোসেনের মোবাইল নাম্বারটি দেয়া হল (০১৩১২-৮৫৮৭৯৪) উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করে আর্থিক বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ জানান প্রবাসী জয় নেহাল।