বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলা ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় রয়েছে কয়েক শত ’ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারী রয়েছে সিন্ডিকেট। এসব মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত রয়েছে। গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাদক বিরোধী অভিযানে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে মাদকের মূল সম্রাট ও চোরাকারবারিরা।
জানা যায় সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবের গ্রামে একাধিক মাদক মামলার আসামি মাদক সম্রাট তরিকুল শেখ (নড়াইল বাবু) আবারও প্রকাশ্যে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জমজমাট মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসি। মাদক সম্রাট বাবর অত্যাচারে ভবের বের গ্রামবাসী দিশাহারা হয়ে উঠেছে রাত্রে বসে জুয়ার আসর ও মাদকের মাদকের জমজমাট ব্যবসা। ভবের ববে গ্রামের মা বাবারা চিন্তায় আছেন তাদের ছেলে মেয়েদেরকে কিভাবে মাদক ছোবল থেকে বাঁচাবে। আইনপ্রয়োগকারী কাছে গ্রামবাসীর বিশেষভাবে অনুরোধ রইল সুষ্ঠু তদন্ত করে দুসি মাদক ব্যবসায়ীদের কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
আরো জানা যায় যে তার এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করেন মাদক সম্রাট বাবুর আপন দুই ভাই এবং তার আত্মীয় স্বজনেরা। মাদক সম্রাট বাবু ও তার সহযোগীরা মিলে তৈরী করেছে একটি সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে বেনাপোলের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে তার ফেনসিডিল গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বাংলাদেশ প্রবেশ করাছেন।
নাম না প্রকাশে শর্তে এক ব্যক্তি বলেন মাদক সম্রাট বাবুর ও তার সহযোগীদের জন্য এখন এলাকায় মাদকের স্পটগুলো ফের জমজমাট হয়ে উঠেছে।আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ছোট ছোট ছেলেদের মাধ্যমে মাদক বহন করাছে ও তাদের হাতে মাদক দ্রব্য তুলে দিচ্ছে। এতে করে এলাকার যুবসমাজ ও ছোট বাচ্চার মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এছাড়া মাদকসেবীদের নিয়ে প্রতিদিন বসছে জুয়োর আসর। এতে এলাকার সচেতন জনগণ তাদের সন্তানদের নিয়ে আছেন চরম দুঃচিন্তায়। এতে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাদক সম্রাট বাবু কয়েকবার জুয়ার বোর্ড থেকে গ্রেপ্তার হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বাহির হয়ে এসে আবারও দুই ভাই ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতার মাধ্যমে।প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বেনাপোল পোর্ট থানায় ওসি মামুন খাঁন যোগদানের পরে মাদকসম্রাট বাবু ববের বেলগ্রাম ছেড়ে তার নিজ বাড়ি নড়াইল গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। বর্তমানে এখন আবার এসে মাদক এবং জুয়ার আসর জমজমাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন অনেক শীর্ষ মাদক ব্যবসাহী ও চোরাকারবারি এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায় দুই/এক জন অসাধু পুলিশ সদস্য এই সকল মাদক ব্যবসায়ি ও চোরাকারবারিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যার ফলে এইসব মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিরা এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছেন।
এছাড়াও এলাকা বাসীর কাছে খবর নিয়ে আরো জানা যায় বেনাপোল পৌর এলাকায় যে সকল চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয় হয় তার অধিক অংশ মাদক সম্রাট বাবুর মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ ব্যপারে বেনাপোল পোর্ট থানায় রয়েছে তার নামে একাধিক অভিযোগ।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নাভারণ সার্কেল, জুয়েল ইমরানের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদক ও চোরাকারবারিদের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্যের যোগসূত্র থাকলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।