1. admin@dainikbangladeshtimes.com : rony :
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পাটকেলঘাটায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আমলকি খাবেন কেন? ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারীর নিহত। ডিবি থেকে হারুনকে বদলি পাটকেলঘাটা বাজারে জলাবদ্ধতা সমাধানে পরিদর্শন করলেন এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ” জগৎ বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ পাটকেলঘাটায় মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতাসহ আটক ৪ নগরঘাটা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপিকে সংবর্ধনা আশাশুনির সাংবাদিক বাহাবুল সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাসেল ভাইপারে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতায় বেশি প্রয়োজন

মায়ের কানের দুল বিক্রি করে পরীক্ষা দিয়েছিল, প্রথম বেতনেই সেইদুল কিনে দিলেন ছেলে

সাংবাদিক নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগের কথা। আমি তখন কলেজে পড়ি। হঠাৎ কলেজের ফরম ফিলাপে বেশ কিছু টাকা দরকার পড়ে। বাবা স্কুলের একজন সাধারণ শিক্ষক ছিলেন। যে টাকা সম্মানী পেতেন তা দিয়ে আমার আর আমার ভাইয়ের পড়াশোনা চালানো বেশ কঠিন হয়ে পরে। আর যখন কোন বিশেষ পরিমাণ টাকার দরকার পড়তো তখন জমি বিক্রি ছাড়া উপায় ছিলো না।

আবার জমিও যে খুব বেশি ছিলো তা নয়। টাকার খুব জরুরি দরকার। খুব ক্রাইসিস চলছিলো। বাবা অনেক চেষ্টা করেও জমি বিক্রি করতে পারলেন না। কিছুটা নিরাশ লাগলো বাবাকে। তাহলে কি এবার আমার ছেলের ফরম ফিলাপ হবে না? বাবার চোখে মুখে বিষগ্নতা। ফরম ফিলাপ এর আর মাত্র এক দিন বাকি। কি করা যায় তা ভেবে নিশ্চুপ আমার বাবা।

হটাৎ আমার মা বাবার কাছে আসলেন আর তার কান থেকে দুটো সোনার গহনা খুলে বাবার হাতে তুলে দিলেন আর বললেন দ্রুত বিক্রি করে ফরম ফিলাপ করতে। বাবা বিক্রি করে আমাকে টাকা দিলেন আর তার পরদিনই আমি ফরম ফিলাপ করলাম।

সে দিন মা তার শখের জিনিসগুলো অবলীলায় দিয়েছিলেন আমার ভবিষ্যতের জন্য। আমি সে দিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার মায়ের স্বপ্নের চাকুরীর প্রথম মাসের বেতন দিয়ে মায়ের জন্য এ রকমই গহনা কিনে দিবো। তাই গত ০৩.০১.২০১৯ তারিখে ময়মনসিংহ থেকে প্রথম মাসের বেতন দিয়ে মাকে না জানিয়েই গহনা কিনে নিলাম। মাকে বলিনি, কারণ বললে নিশ্চিত না করতো। মা আমার হাতে তার সেই চির চেনা সোনার ঝুমকা দুল দেখেই কেঁদে ফেললেন। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে। মা একটু আড়াল করেই তার চোখ মুছলেন।

আমি নিজ হাতে মাকে সেই দুল পড়িয়ে দেই। সে যে কি আনন্দ। এ এক পরম পাওয়া। এই অনুভূতি ভালোলাগার অনুভূতি। আজ আমি আল্লাহর রহমতে জজ হয়েছি। আল্লাহ অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। আজ আল্লাহ আমার মায়ের সে স্বপ্ন পূরণ করেছেন। লাখ লাখ শুকরিয়া তার কাছে। আমি জানি এবং বিশ্বাস করি কোন কিছুর বিনিময়ে মায়ের প্রতিদান দেয়া যায় না। শুধু নিছক কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া। এই ধরণের ঘটনা প্রায় প্রতি মায়ের ক্ষেত্রেই ঘটে।

তাই সব মা-দের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা আর সীমাহীন ভালোবাসা। মায়ের অবদান অম্লান, অতুলনীয়, প্রতিদানহীন। মহান সৃষ্টিকর্তা সকল মা-কে সুস্থ রাখুন আর যাদের মা চলে গেছেন সেই মা-দের শান্তিতে রাখুন। আমীন।

লেখা- মনিরুল ইসলাম সহকারী জজ জেলা ও দায়রা জজ আদালত, জামালপুর।

এই সংবাদ টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
আমাদের এই খানে প্রকাশিত সংবাদ সম্পুর্ন আমাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া। কোনো প্রকার মিথ্যা নিউজ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না সম্পুর্ন দায়ী থাকবে নিউজ প্রেরণ কারী সাংবাদিক।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It
error: Content is protected !!