বিশেষ প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারী করোনাকে পুঁজি করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসায়ীরা বাজারে নিন্মমানের মাস্ক সরবারাহ করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রেতা সাধারন।
করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিন্মমানের মাস্ক মাস্ক সরবারাহের কারনে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
ঐ ঘটনার সাথে জড়িতদের জেলও খাটতে হয়েছে। মাস্ক ও করোনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারনার অভিযোগে এখনও জেল হাজতে রয়েছে অভিযুক্ত দেশের বেশ কয়েকজন আলোচিত ব্যক্তি। এদের মধ্যে চিকিৎসকও রয়েছে।
বর্তমান সময়ে মাস্ক বিষয়ে বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারগুলোতে একদম নিন্মমানের মাস্ক তৈরী করে তা বিক্রি করছে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে সাধারন মানুষের।
ভুক্তভোগীরা জানায়, নিন্মমানের এই মাস্কগুলোর কাপড়ের মান খুবই খারাপ। তাদের ফিতা সেটিংও অনেকটা দুর্বল পরতেই ছিরে যায়।
কানের সাথে ফিতা লাগানোর আগেই ফিতা ছিঁড়ে যায়। নিন্মমানের এই মাস্ক থেকে ক্যামিক্যালের অসহ্য গন্ধ আসে। এ থেকে বমিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিঃ(বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট) এর পরিচালক ড, এস এম জাহাঙ্গীর আলমে বলেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ রোগের যে কি কস্ট তা যার না হয়েছে তারা বুঝবেনা।
করোনা প্রতিরোধে সকল সামগ্রীই মানসম্পন্ন হওয়া উচিত। এ নিয়ে কেউ প্রতারণা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। ভুক্তভোগী কয়েকজন গণমাধ্যমকে জানায়, নিন্মমানের এই মাস্কগুলো বেশীর ভাগই ফুটপাতে বিক্রি হয়। বিষয়টির প্রতি নজর দেয়া খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন চিকিৎসক।