বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলের দৌলতপুর মোজাম সিন্ডিকেটের ফেন্সিডিলের ওগাজার জমজমাট ব্যবসা চলছে
কোনরকমে বন্ধ হচ্ছে না বেনাাপোল সীমান্তে ফেন্সিডিল গাজা আসা।
ভারত থেকে প্রতিদিন দেশের অভ্যান্তরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও গাজা পাচার হয়ে আসছে। এর এই সিন্ডিকেটের মুল নায়ক দৌলতপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ এর ছেলে মোজাম আলী সহ দৌলতপুর গ্রামের মুক্তারের ছেলে সাইফুল, সীমান্তের কিছু অসৎ নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় এসব ফেন্সিডিল দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে বলে মোজাম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে আগের চেয়ে কম আসছে বলে তারা দাবি করে।
দৌলতপুর গ্রামের মোজাম আলী ভারত বাংলাদেশ এর দৌলতপুর গ্রামের ঘাট মালিক এবং মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে অবাধে শাড়ি থ্রি পিছ এবং ফেন্সিডিলের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। আর ঈদ উপলক্ষেও বেশী মুনাফা লাভের আশায় অতি উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে আনছে ফেন্সিডিল। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্রতিক কালে ফেন্সিসিডিল এর চালান বেশী ভারত থেকে আসছে যার প্রমান বেনাপোল পোর্ট থানাভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন যোগদানের পর থেকে অনেক মাদকদ্রব্য জব্দ করা হইয়াছে গত এক বছরে এই থানার সদস্যরা যত ফেন্সিসিডিল গাজা, ইয়াবা জব্দ করেছে এর আগে এত উদ্ধার হতে দেখা যায়নি কোন দিন
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ পথে সিন্ডিকেটে ফেন্সিডিল সহ অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে পাচার হয়ে আসে। এরা প্রতি ১০০ টি ফেন্সিডিলে ৫ হাজার করে টাকা দেয় যারা সীমান্তে দায়িত্বে থাকে। তবে এর মধ্যে সকলে না। কিছু প্রশাসনের আছে যারা গোপনে এই টাকা খেয়ে মালামাল ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে যে সকল বহনকারী বহন করে প্রতি ১০০ বোতল ফেন্সিডিল ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকে।
দৌলতপুরের মোজাম জানায়, আমরা কাজ করি, তবে এখন কাজ হচ্ছে না। আগের মত কাজ করতে পারছি না। এখন সামান্য কাজ হয় তা দিয়ে চলা মুশকিল। ফেন্সিডিল প্রতি কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে সে বলে আগের চেয়ে এখন খরচ বেশী। মোজাম আরো বলে তার সাথে কাজ করত আহাদ নামে একজন বেরিয়ে যেয়ে আর একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে তাদের ফেনসিডিলের চালান ক্যাম্পে ধরা পড়ছে বলে দাবি।
অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোলের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম দৌলতপুর। এ গ্রামের সাথে রয়েছে ভারতের ১৩ ঘর। আর এই ১৩ ঘর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল সরবরাহ করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ১৩ ঘরের সরবরাহকৃত ফেন্সিডিল বেচাকেনা করে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিদিন যশোর, খুলনা নোয়াপাড়া পুলেরহাট, নতুনহাট, ঝিকরগাছা, গদখালী, নাভারণ, শার্শা ও ভবের বের বেনাপোল থেকে শত শত যুবক দৌলতপুর গ্রামে গিয়ে ফেন্সিডিল সেবন করে। অনেকে সাথে করে নিয়েও যায়। এসব ফেন্সিডিলসেবীর যাতায়াতের প্রধান বাহন মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক। সুযোগ বুঝে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের বেচাকেনা হয় গ্রামের রাস্তার পাশে, অলিগলিতে,মাঠের মধ্যে।
পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার হাদীউজ্জামান বলেন, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সমাবেশ করা হয়েছে। তিনি দৌলতপুর ও পুটখালী সীমান্তে মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য বিজিবি ও প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
পুটখালী কোম্পানী সদর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সীমান্ত দিয়ে এখন হাহাকার চলছে। কোন প্রকার মাদক বা অন্যান্য পণ্য প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি চুরি করে দুই একটা আনে তবে তা ভিন্ন কথা। আমরা সব সময় তদারকি করে থাকি। আর সব সময় কোথায় কি হচ্ছে তাও তদারকি করা হয়। বর্তমানে সাদিপুর রঘুনাথপুর বিভিন্ন কৌশলে গাঁজা ফেনসিডিল ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বেশি লাভের আশায়। বর্তমানে প্রশাসন যদি একটুও সুন্দর না দেন তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ চিরতরের জন্য শেষ হয়ে যাবে প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি আপনারা একটু সচেতন হোন।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বলেন, আমি বেনাপোল পোর্ট থানা কে জিরো টলারেন্স নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ বেনাপোল সীমান্তে পুলিশি অভিযান যতদিন মাদক আসবে ততদিন আমি অভিযান চালিয়ে যাব মাদক ব্যবসায়ী ওসি মামুন খানের একটি কথা মাদক ব্যবসার ছাড়ো না হয় বেনাপোল ছাড়ো ও সেবনকারীদের গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের আরো সচেতন হতে হবে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে সকল এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।