বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোলের মেইন রোড সংলগ্ন বেনাপোল বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবৈধ ভাবে বালু রেখে চলছে বালু ব্যবসার মহা উৎসব। এই বালু ব্যবসায়িদের নামে নানা অভিযোগ থাকলেও এই সিন্টিগেটর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা।
২২ ই অক্টোবর রোজ শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বালু বিক্রয়ের ট্রলির গভিরতা ১২ ইঞ্চি থাকলেও এক নিখুঁত পদ্ধতিতে তা কমিয়ে ৭/৮ ইঞ্চি করা হয়েছে। যেটা সাধারণ সরল জনগণকে বোকা বানিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই বালু ব্যবসায়িরা হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এব্যাপারে ট্রলি চালকদের কাছে জিঙ্গাসা করলে তারা বলেন, আমরা নিরুপায় ট্রলি যদি ছোট না করি তাহলে আমাদেরকে ভাড়া দেবেনা মহাজনেরা। এভাবে মানুষ জনকে ঠকাতে আমাদেরও খারাপ লাগে। তবে আমাদের বলার মত কিছুই নেই। এভাবে নিরীহ জনগণকে টক দিয়ে ব্যবসা করে মহাজনেরা তো লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার মালিক হচ্ছে। আর আমরা টায়ার কিনতে গেলে সমিতি তুলতে হচ্ছে। আমরাও চাই ট্রলি বড় হোক এবং আমরা সঠিক ভাবে ভাড়া খাটি।
বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আছে অবৈধ ভাবে সরকারী জমি দখল করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মেইন রোডের সাথেই যত্রতত্র বালু রাখার অভিযোগ। যার ফলে পথচারী সহ কোমলমতী স্কুলগামী শিশুদের চোখে-মুখে বাতাসে উড়ে বালু যায়।
এছাড়াও ট্রাকে করে বালু আনার সময় সেখান থেকে ট্রাক থেকে কিছু বালু নামিয়ে রেখে, বালু আবার সমান করে ক্রেতাকে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে বালু ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, আসলে ট্রাক থেকে বালু আমরা নামায় না। এখানে দালাল আছে যারা ট্রাক ধরে বালু বিক্রী করে তারায় নামিয়ে রেখে পরে হয়ত আামাদের কাছে বিক্রয় করে দেয়।
ট্রলি ছোট করার বিষয়ে একাধিক বালু ব্যবসায়ী শিপন, শরিফুল, শফিকুল, করিমউল্লাহ, তরিকুল সহ প্রত্যেকে একে অপরের দোষ দিয়ে বলেন, অনেকদিন যাবৎ এখানে সবাই এভাবেই ব্যবসা করছে। এজন্য বাধ্য হয়ে আমরাও করছি। তা না একা ট্রলি বড় করে ব্যবসা করতে পারবো না। সরকারী জমিতে বালু রাখার বিষয় জিঙ্গাসা করলে, কেউই সদুত্তর দিতে পারেনি।
অবৈধ ভাবে সরকারী জমি দখল করে বালু রাখার বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাশিদা বেগম বলেন, রাস্তার জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বালু রাখার বিষয়ে আমরা পূর্বেও ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্দ্ধতনদের সাথে কথা বলে আবার পুনরায় ব্যবস্থা নিব।