বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর শার্শা উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মিছিলে হামলা হয়েছে।
সোমবার (৮ই নভেম্বর ২০২১) উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়ন এর ৪নং ওয়ার্ডের সোনাতনকাটি বামুনিয়া বাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গত ২ বারের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল, সমর্থকরা নৌকার মিছিল করতে গেলে জামাত বিএনপি সমর্থিত কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক, ও তার ভাই রনকুল, আব্দুস সাত্তার, ভাইপো শিপলু, সহ বিএনপি’র সাবেক কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির চিহ্নিত বিএনপি ও জামাত কর্মীদের হামলায় আওয়ামী লীগ কর্মী আনোয়ার হোসেন, আব্বাস আলী, আব্দুল মজিদ, আলতাফ হোসেন, সহ ১৫ থেকে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বলে জানান স্থানীয়রা,
এ ঘটনায় চিহ্নিত জামায়াত বিএনপি’র হামলাকারীরা হলেন।
মোঃ নয়ন, মোঃ মস্তো, আলাউদ্দিন, ফারুক হোসেন, জালাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, কবির, ইজ্জত, রাশেদ, আক্তার, আনিসুর, হচেন আলী, রবিউল, সুলতান, শিপলু, সাইদুল, মতি, আইজুল হছেন, আতিয়ার, কামরুল, রশিদ, ইলাই’রা সশস্ত্র হামলা চালায়।
এ ঘটনায় ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দ ও মেম্বার জানান গত ৫ই নভেম্বর নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করার পর থেকে কথীত আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আব্দুল খালেক তার ভাই রনকুল, আব্দুস সাত্তার, সহ বিএনপি’র কিছু নেতা মৌখিকভাবে আমাদের কাছে অনুরোধ করেন বিএনপি’র সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, চাচাতো ভাই আব্দুল খালেক বকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৃপ্তির সম্মানার্থে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দিতে বলেন তাঁরা।
তাদের কথা না রাখাতেই বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের কে নিয়ে আওয়ামী লীগ নামধারী স্বার্থন্বেষী কিছু কুচক্রী দের, নিয়ে পূর্ব রিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছে। তৃপ্তির চাচাতো ভাই কথীত আওয়ামী লীগ নেতা খালেক রা সহ বসতপুর এর বড় খোকা ছোট কলোনির আলী আম্মাদ ডাঃ, আম্মাদ আলী, বাগআঁচড়া’র খতিব ধাবক, তার ছেলে আবু সাঈদ, ভাইপো শফিক মাহমুদ, মিঠু, লালটু, মনি ধাবক, মিঠুর ছেলে বিপ্লব, আসাদুল মেম্বার, বিলাতের ছেলে রাজ্জাক, কালা মিন্টু, মাজেদ’র ছেলে মিঠু, মেহেদী, টুটুলসহ দেড় থেকে দুইশো জন অতর্কিত ভাবে নৌকা মার্কার ৬০ থেকে ৭০ জন মিছিল কারীর উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় জড়িত’রা ঘটনাস্থলে থাকা চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেকের নির্দেশেই হামলা চালায়।
এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন গ্রামবাসি সুধীমহল সহ আওয়ামী লীগ নেতারা। এ বিষয়ে নৌকা প্রতীক পাওয়া ইলিয়াছ কবির বকুল, বলেন আমি বিষয়টি জানার পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কে অবহিত করি উনারা ঘটনাস্থলে যেয়ে প্রকৃত ঘটনা কি এবং কারা হামলা চালিয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী তৃপ্তির চাচাতো ভাই আব্দুল খালেক সহ তার ভাইয়ে’রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেই আমার কর্মীদের চাইনিজ কুড়াল, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীকে মারাত্মক আহত করেছে।
আহত মধ্যে পাঁচ জন গুরুতর আহত অবস্থায় নাভারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো নির্বাচন যাতে সুস্থ পরিবেশে সরকার সম্পন্ন করতে পারে তার জন্য প্রশাসন যেন আমাদের সহযোগিতা করেন। জামাত-বিএনপি’র সমর্থিত এই আব্দুল খালেক নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাইছেন এজন্য উনিই সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আমার কর্মীদেরকে মারধর করে আহত করেছে এ-র আমি সুবিচার চাই দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্তা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য কথীত আওয়ামী লীগার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল খালেক নিজেকে কখনো বিজ্ঞান ও গবেষনা সম্পাদক আবার কখনো আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক বলে দাবি করা মফিকুল হাসান তৃপ্তির চাচাতো ভাই খালেক ২০০১ এর সংসদ নির্বাচনে তৃপ্তি বিএনপি’র দলীয় নমিনেশন নিয়ে যশোরে আসলে খালেক সহ তার পরিবার সামগ্রিক সহযোগিতা করে তৃপ্তির গলায় ফুলের মালা দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন তারপর থেকে খালেক দের আর পিছু তাকাতে হয়নি রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তাঁরা ২০০১ সালের আগে খালেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
২০০৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক জরুরী মিটিং এ হাজির হতে বলা হলে, তিনি হাজির না হয়ে। উনার আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রস্তাব কারী সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, কে বলেন আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেছি আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি কাউকে জবাবদিহি করবো না। সেই খালেক ২০২১ সালের স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে বিগত ৬ মাস আগে থেকে দৌড় ঝাঁপ শুরু করে ব্যর্থ হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নমিনেশন সংগ্রহ করেন নির্বাচন কমিশন থেকে।
তিনি নিজেকে পূর্বের কৌশলে ফিরিয়ে নিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে সেই কূটকৌশলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সোনাতন কাটি বামুনিয়া গ্রামে বিএনপি-জামায়াত সহ আওয়ামী লীগের কিছু স্বার্থন্বেষী (২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হলে গরু জবাই করে ভোজন করিয়ে বিএনপিতে যোগদান করা) অর্থলুভি কুচক্রী মহলের সাথে নিয়ে গতকালের হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।