বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোলে মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে ২ কিশোরের ছুরিকাঘাত বেনাপোলের দীঘিরপাড় গ্রামের বেনাপোল-যশোর মহাসড়কে মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে ছুড়িকাঘাত করছে দুই কিশোর ইমন ও ইমরান।
বৃহস্পতিবার সরোজমিনে দীঘিরপাড় মেইনরোডে গিয়ে রাস্তার পাশে মানুষের জটলা দেখতে পাওয়া যায়। জটলা ঠেলে সামনে গিয়ে দেখা যায়, নুরনবী নামে এক যুবক ছুড়ির আঘাতে আহত হয়ে পড়ে আছে। সেখান থেকে ইজিবাইক যোগে ২/৩ জনকে পলায়ন করতে দেখা যায়।
আঘাতপ্রাপ্ত নুরনবী দৈনিক বাংলা পত্রিকাকে বলেন, বেনাপোলের নামাজগ্রামের আজিবরের ২ ছেলে ইমন এবং ইমরান তাকে ছুড়ির আঘাত করে। তারা ২ দিন আগে আমর কাছ থেকে একটা মোবাইল ছিনতাই করে “বাবা” খেয়েছে। আমি আমার মোবাইল ফেরত চাইলে মীমাংসার কথা বলে এখানে এসে আমাকে ছুড়ি মেরে পালিয়েছে।
এ বিষয়ে আজিবরের ছেলে ইমন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম কিন্তু আমি আঘাত করিনি। একাজ করেছে আমার ভাই ইমরান। নুরনবী আমার মোবাইল ছিনতাই করে নিলে এঘটনা ঘটে। ইমরানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভয় হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রকাশ্যে আজিবরের ২ সন্ত্রাসী ছেলে এঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের দুই ভাইয়ের নামে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অল্প বয়সে রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে তারা এসব করছে। নুরনবীর নামেও থানায় মামলা থাকায়, সে পুলিশ আসার আগে পালিয়েছে। এসকল অল্প বয়সী নেশাখোর ও সন্ত্রাসী ছেলেদের কারণে আজ বেনাপোলের শান্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এহেন ঘটনার সঠিক বিচার না হলে, ভবিষৎতে এরা আরো বড় ঘটনা ঘটাবে।
এবিষয়ে আজিবর রহমানকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমি এবিষয় সম্পর্কে কিছু জানিনা, আমি এখন নির্বাচনি প্রচারণার কাজে ব্যাস্ত আছি।
এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এস আই রিয়েল সহ কয়েকজন পরিদর্শন করেছেন। তবে আমরা এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।