বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোল ইউনিয়ানের বেনাপোল টু দূর্গাপুর, নারানপুর, বোয়ালিয়া, মানকিয়া ও ঘিবা সহ কয়েকটি গ্রামের সংযোগ সড়কের নারানপুর বিশ্বাস বাড়ির সামনে কালভার্ট ও সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ২টি ইউনিয়ানের হাজার হাজার মানুষকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আঞ্চলিক সড়কটির সংযোগ পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃমিঃ রাস্তার বেহাল দশা ও একটি কালভার্টের শেষের এক প্রান্তে গর্ত হয়ে পুকুরের নিচে পর্যন্ত চলে যাওয়ায় বর্তমানে স্থানটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট ছোট দূর্ঘটনা, রয়েছে বড় দূর্ঘটনার আশঙ্কা। রাস্তার বেহাল দশা ও কালভার্টির এমন দুরাবস্থার জন্য চরম বেকায়দায় গ্রামবাসীরা।
৪ই ডিসেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দুপাশে পুকুর হওয়ায় রাস্তার অনেকাংশ দেবে নষ্ট হয়ে গেছে এবং কালভার্টের একপ্রান্তে রাস্তা ভেঙ্গে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে, যেটা যান চলাচল করা খুবই ঝুকিপূর্ন, স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান দীর্ঘদিন যাবত এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তারা ভাঙা কালভার্ট দিয়ে চলাচল করছে।
ঐই গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, বর্ষা মওসুমে রাস্তা দিয়ে বর্ষার পানি ভাঙ্গায় রাস্তার এই বেহাল দশা হয়েছে। যার ফলে যানবাহন চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিনই প্রায় ২৫ / ৩০ হাজার মানুষ জেলা, উপজেলা ও বেনাপোলে ব্যবসা বানিজ্য স্কুল কলেজে ও বন্দরে যাওয়া আসা করে থাকেন । রাস্তার মাঝে একটাই ছোট ব্রিজ, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটাও এখন সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই । স্থানীয় প্রতিনিধিদের বললে হচ্ছে হবে বলে কালক্ষেপণ করে। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা। বাকি ১ কিঃমিঃ রাস্তাটি অনেক বছর আগে হওয়ায় রাস্তার পিচ সব উঠে গিয়ে খানা খদ্দরে পরিণত হয়েছে। বেহাল দশাতে কোন অসুস্থ ও প্রসুতী মা কে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পরে।
নারাণপুর এলাকার বাসিন্দা শাহিন বিশ্বাস বলেন, আমাদের কৃষি এলাকা। এই সড়কটি এখন বেহাল দশায় কৃষকদের ধান-চালসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে কোন বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা কালভার্টটি দ্রুত মেরামত ও সড়কের সংস্কারের জোড় দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ৪ নং বেনাপোল ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আমি পরিদর্শন করেছি স্থানটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনের কারণে বরাদ্দ কিছুদিন বন্ধ ছিলো এবার বরাদ্দ আসলে প্রথমেই আমরা কাজটি শেষ করার সর্বচ্ছো চেষ্টা করবো।