বিশেষ প্রতিনিধি: পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ভারত বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী গ্রহণ না করায় দুর দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা পড়েছে বিপাকে। বিজিনেস ও মেডিকেলে যাদের বাই এয়ার ভিসা রয়েছে তাদের গ্রহণ করছে না ভারত। যার ফলে বাংলাদেশ এর বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশও এসব যাত্রীদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
শুক্রবার ও শনি (১০ও১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এসব যাত্রীরা চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে ভারতে প্রবেশ করতে না পেরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বসে রয়েছে যদি অনুমতি দেয় ভারত। এদের মধ্যে অনেকে ছোট শিশু বাচ্চাদের নিয়ে চিকিৎসার জন্য অগ্রিম বিমানের টিকিট কেটেও বিপাকে পড়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারত ১২৫ জন বাংলাদেশী মেডিকেল ও বিজিনেস পাসপোর্ট যাত্রীদের ফেরত দিয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল চেকপোষ্টে দিপংকার ঘোষ পাসপোর্ট নং এ- ০১৮৯৯০০২, স্ত্রী চিত্রা ঘোষ পাসপোর্ট নং এ-০০১৮৯৭০৩০ ও ছেলে পল্লব ঘোষ এ-০০৯১৭২৬৭ । ছেলে পল্লব ঘোষ (৫) কে চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যাওয়ার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত আসে। এরপর অসুস্থ ছেলে নিয়ে বসে থাকে যাত্রী টার্মিনালের সামনে। কাঁদতে কাঁদতে মা চিত্রা ঘোষ বলেন ছেলের প্রচুর শ্বাস কষ্ট। তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে ভেলোর শহরে নেওয়ার জন্য অগ্রিম বিমান টিকিট ও ক্রয় করা হয়েছে। ছেলের প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে শ্বাস নিতে। এময় তারা স্থানীয় ডাক্তারদের দিয়ে অক্সিজেন ব্যবহার করে।
এ ভাবে শত শত যাত্রী বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারত যাওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে। ঢাকার যাত্রী আবু তালেব জানায় সে ব্যবসায়িক কাজের জন্য ভারত যাওয়ার জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ সহ এসে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত যাচ্ছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায় ভারত ব্যবসায়িক ও যাদের বাই বিমান লেখা আছে তারা স্থল পথে ভারত গমন করতে পারবে না।
তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় ১২৫ বাংলাদেশী মেডিকেল ভিসা যাত্রী ভারত ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের পাসপোর্ট ভিসায় উল্লেখ ছিল বাই এয়ার।
বেনাপোল ইমিগ্রশন ওসি রাজু জানান, ভারত ব্যবসায়িক ও মেডিকেল ভিসায় যাদের শুধু মাত্র বিমানে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রদান করেছে তারা বিমানে যেতে পারবে। তারা স্থল পথে যেতে পারবে না। এ সংক্রান্ত নিশেধাজ্ঞা বাংলাদেশ থেকে নির্দেশনা আসে নাই। ভারত হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেক বাংলাদেশী যাত্রী ফিরে গেছে বলে তিনি জানান।