আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত শোভনালী ব্রিজের দক্ষিণাংশের অর্থাৎ আন্ডারপাচের সাথে ব্রিজের সংযোগস্থলের উভয় পার্শ্বের কর্ণারে ভেঙে সৃষ্ট গর্ত যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ব্রিজের শোভনালী পাড়ের সংযোগ সড়ক দিয়ে উঠে আন্ডারপাচের উপর দিয়ে ব্রিজে উঠতেই ব্রিজের উভয় পার্শ্বে ব্রিজ ধ্বসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্ত দুটির মধ্যে দক্ষিণ-পঞ্চিম কর্ণারের গর্তটির প্রস্থ ২ফুট, দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট। দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণারের গর্তটি আকারে বিপরীত দিকের তুলনায় কিছুটা ছোট হলেও বড় ধরনের যে কোন দুর্ঘটনার জন্য যথেষ্ট। ব্রিজটি বেশ উঁচুতে নির্মিত হওয়ায় শোভনালীর দিক থেকে সংযোগ সড়ক বেয়ে উপরে আসা যে কোন যানবাহন অজান্তে বা অসাধারণতা বসত সৃষ্ট গর্তে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এছাড়া রাতে নৈকাটির দিক থেকে আসা যে কোন যানবাহন ব্রিজের মধ্যের অংশ দিয়ে না গিয়ে যে কোন সাইড দিয়ে যেতে চাইলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া ব্রিজটির উত্তর দিকের সংযোগ সড়কের সাথে ব্রিজের মধ্যমাংশের সংযোগস্থলের সংযোগ সড়কটি যথেষ্ট পরিমাণ দেবে গেছে যার কারনে অধিকাংশ যানবাহন ব্রীজের দুই সাইড দিয়ে উঠতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আর এই স্বাচ্ছন্দ্যবোধই হতে পারে সৃষ্ঠ গর্তে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ। শুধু যানবাহন নয় পায়ে হেঁটে ব্রিজ পারাপারের পথচারিরা অসাবধানতা বশতঃ গিয়ে পড়তে পারে গর্তে। শোভনালী ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি করিম মোড়ল জানান, গর্ত দুটির আকৃতি দিন দিন বড় হচ্ছে। কিছু দিন পূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডলকে ঘটনাস্থলে এনে বিস্তারিত বলেছি। উনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সমস্যার সমাধানের বিষয়ে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এদিকে, কোন দূর্ঘটনার পূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট গর্ত দুটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।