1. admin@dainikbangladeshtimes.com : rony :
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পাটকেলঘাটায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা আমলকি খাবেন কেন? ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেল ধাক্কায় পথচারীর নিহত। ডিবি থেকে হারুনকে বদলি পাটকেলঘাটা বাজারে জলাবদ্ধতা সমাধানে পরিদর্শন করলেন এমপি ফিরোজ আহমেদ স্বপন “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ” জগৎ বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ পাটকেলঘাটায় মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের হোতাসহ আটক ৪ নগরঘাটা ইউনিয়নবাসীর পক্ষে ফিরোজ আহমেদ স্বপন ও লায়লা পারভীন সেঁজুতি এমপিকে সংবর্ধনা আশাশুনির সাংবাদিক বাহাবুল সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাসেল ভাইপারে আতঙ্কিত নয়, সচেতনতায় বেশি প্রয়োজন

বেনাপোলে সীমান্তে পুটখালী গাতিপাড়া সাদিপুর ভবের বের ভারতীয় ফেনসিডিল ও গাজা জমজমাট ব্যবসা চলছে

মোঃনজরুল ইসলাম ।।
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: বেনাপোলে সীমান্তে পুটখালী গাতিপাড়া সাদিপুর ভবের বের ভারতীয় ফেনসিডিল ও গাজা জমজমাট ব্যবসা চলছে

শার্শা উপজেলা গ্রামগুলোতে কোনরকমে বন্ধ হচ্ছে না মাদকের ফেন্সিডিল গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী নিরব।

ভারত থেকে প্রতিদিন দেশের অভ্যান্তরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল ও গাজা পাচার হয়ে আসছে। কিছু অসাধু ক্ষমতাবান এই সিন্ডিকেটের মালিক দৌলতপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ এর সহ দৌলতপুর গ্রামের মুক্তারের ছেলে সাইফুল, সীমান্তের কিছু অসৎ নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় এসব ফেন্সিডিল দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।।

দৌলতপুর গ্রামের সাদিপুর এর ইমরান বারোপোতা নাজমুল ভারত বাংলাদেশ এর দৌলতপুর গ্রামের ঘাট মালিক এবং মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে অবাধে শাড়ি থ্রি পিছ এবং ফেন্সিডিলের ও গাজা বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। আর মুনাফা লাভের আশায় অতি উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে আনছে ফেন্সিডিল। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্রতিক কালে ফেন্সিসিডিল এর চালান বেশী ভারত থেকে আসছে যার প্রমান বেনাপোল পোর্ট থানাভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন যোগদানের পর থেকে অনেক মাদকদ্রব্য জব্দ করা হইয়াছে গত এক বছরে এই থানার সদস্যরা যত ফেন্সিসিডিল গাজা, ইয়াবা জব্দ করেছে এর আগে এত উদ্ধার হতে কখনো দেখা যায়নি কোন দিন

দৌলতপুরের জিয়া স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ পথে সিন্ডিকেটে ফেন্সিডিল সহ অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে পাচার হয়ে আসে। এরা প্রতি ১০০ টি ফেন্সিডিলে ১২ হাজার করে টাকা দেয় যারা সীমান্তে দায়িত্বে থাকে। তবে এর মধ্যে সকলে না। কিছু প্রশাসনের আছে যারা গোপনে এই টাকা খেয়ে মালামাল ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে যে সকল বহনকারী বহন করে প্রতি ১০০ বোতল ফেন্সিডিল ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে ৯ হাজার টাকা নিয়, আমরা কাজ করি, তবে এখন কাজ হচ্ছে না। আগের মত কাজ করতে পারছি না। এখন সামান্য কাজ হয় তা দিয়ে চলা মুশকিল। ফেন্সিডিল প্রতি কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে সে বলে আগের চেয়ে এখন খরচ বেশী। মোজাম আরো বলে তার সাথে কাজ করত আহাদ নামে একজন বেরিয়ে যেয়ে আর একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে তাদের ফেনসিডিলের চালান ক্যাম্পে ধরা পড়ছে বলে দাবি।

অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোলের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম দৌলতপুর। এ গ্রামের সাথে রয়েছে ভারতের ১৩ ঘর। আর এই ১৩ ঘরও দৌলতপুর সাদিপুর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল সরবরাহ করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ১৩ ঘরের সরবরাহকৃত ফেন্সিডিল বেচাকেনা করে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিদিন যশোর, খুলনা নোয়াপাড়া পুলেরহাট, নতুনহাট, ঝিকরগাছা, গদখালী, নাভারণ, শার্শা ও বেনাপোল থেকে শত শত যুবক দৌলতপুর গ্রামে গিয়ে ফেন্সিডিল সেবন করে। অনেকে সাথে করে নিয়েও যায়। এসব ফেন্সিডিলসেবীর যাতায়াতের প্রধান বাহন মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক।সুযোগ বুঝে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকের বেচাকেনা হয় গ্রামের রাস্তার পাশে, অলিগলিতে,মাঠের মধ্যে।
, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান বলেন মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সমাবেশ করা হয়েছে। তিনি দৌলতপুর ও সাদিপুর ভবের বের পোড়াবাড়ি নারায়ণপুর কাকমারি ও সীমান্তে মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য বিজিবি ও প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

পুটখালী কোম্পানী সদর ইনচার্জ সুবেদার জাহাঙ্গীর হোসেন কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ক্যাম্পে যোগদান করি আছি মাত্র তিন দিন এই সীমান্ত দিয়ে এখন হাহাকার চলছে। কোন প্রকার মাদক বা অন্যান্য পণ্য প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি চুরি করে দুই একটা আনে তবে তা ভিন্ন কথা। আমরা সব সময় তদারকি করে থাকি। আর সব সময় কোথায় কি হচ্ছে তাও তদারকি করা হয়।বর্তমানে সাদিপুর রঘুনাথপুর বিভিন্ন কৌশলে গাঁজা ফেনসিডিল ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বেশি লাভের আশায়। বর্তমানে প্রশাসন যদি একটুও সুযোগ না দেন তবে বাংলাদেশের যুবসমাজ চিরতরের জন্য শেষ হয়ে যাবে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা যদি না রাখেন। আপনারা যদি আরো একটু কঠোর হোন তবে মাদক ব্যবসায়ীরা পলাইতে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান বলেন, আমি বেনাপোল পোর্ট থানা কে জিরো টলারেন্স নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ বেনাপোল সীমান্তে পুলিশি অভিযান চলছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের গ্রেফতার করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের আরো সচেতন হতে হবে। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এই সংবাদ টি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
আমাদের এই খানে প্রকাশিত সংবাদ সম্পুর্ন আমাদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পাওয়া। কোনো প্রকার মিথ্যা নিউজ হলে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না সম্পুর্ন দায়ী থাকবে নিউজ প্রেরণ কারী সাংবাদিক।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It
error: Content is protected !!