বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৩৩টি বই আমদানি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। নিদিষ্ট চুক্তিতে ভারতে ছাপানো বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বইয়ের মধ্যে এ চালানে প্রায় ৬ লাখ বই বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ই ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৫টি ট্রাকে এসব বই বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বন্দরের ২৭ নাম্বার পণ্যগারে আমদানিকৃত বই ভারতীয় ট্রাক থেকে আনলোড করে রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের ২৭ নাম্বার পণ্যগারের ইনচার্জ (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মোঃ আব্দুল হাফিজ জানান, বইয়ের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের কৃষ্ণা ট্রেডার্স। বইয়ের আমদানি মুল্য ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৬ ইউএস ডলার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কন্ট্রোলার ওফ প্রডাকশন সাইদুর রহমান। বইয়ের সাপ্লায়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সিরাজুল হক বলেন, যদিও আমরা বইগুলো একটু দেরিতে পেয়েছি তারপরও প্রধানমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগ সফল করতে আমরা যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক গুলো যথাস্থানে পৌছে দেব। সেই অনুযায়ী অতিদ্রুত কাজ চলমান রয়েছে।
বই সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত সি এন্ড এফ এজেন্ট বেনাপোলের মেসার্স এ্যানেস্ক ইন্টারন্যাশনাল এর সত্ত্বাধিকারী ফারুক হোসেন উজ্জল বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত বই সারা দেশে নতুন বছরে উৎসবের সহিত বিতরণ করা হয়, যার উদ্বোধন নিজ হাতে করে থাকেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন একটি মহৎ কাজে আমি নিজে অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। যে সব বই ইতিমধ্যে আমদানি হয়েছে তা আজ ৩০ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ১১টি ট্রাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হবে। খালাসের পর বই নিয়ে ট্রাক যাতে দ্রুত গন্তব্যে পৌছাতে পারে তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বই খালাসের কাজে নিয়েজিত বন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা বলেন, প্রতিবছর এসময় ভারত থেকে সরকারী বই আমদানি হয়ে থাকে। তাদের ছেলে মেয়েরাও এসব বই পড়বে, এজন্য তারা আনন্দের সহিত অতিদ্রুত বইগুলো খালাস করে থাকেন।
আমাদানীকৃত এই পাঠ্যপুস্তক দ্রুত বন্দর খালাসের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান ও বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।