বিশেষ প্রতিনিধি: জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড গুলির বুলেট, একটি বার্মিজ চাকু, একটি করাত ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়। আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার দোগাছিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে শাকিল পারভেজ (২১) ঝাউদিয়া গ্রামের শাহাজুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯) শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গাবতলা স্কুলের পিছনে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী নাজমা ওরফে হিজড়া নাজমা ও একই এলাকার সুজনের স্ত্রী সেলিম ওরফে হিজড়া সেলিনা।পুলিশ জানিয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সম্প্রদায়ের আধিপত্য বিস্তার ও টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে সেলিনা ও নাজমার সাথে আব্দুল কাদের ওরফে লাভলী হিজড়ার মধ্যে অভ্যান্তরীন বিরোধের সৃষ্টি হয়। সে কারণে নাজমা ও সেলিনাসহ তাদের সহযোগি আরো কয়েকজনকে নিয়ে লাভলীকে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত শনিবার লাভলী একটি বাচ্চা নাচানোর উদ্দেশ্যে কায়েমকোলা বাজারের দিকে যান। এসময় তার সহযোগি হিসেবে নাজমা ও সেলিনা ছিলো। নাজমা ও সেলিনার পূর্ব পরিকল্পনায় ঘটনার ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি ইজিবাইকে করে রওনা করেন। হালসা গ্রামের মাঠে একটি ব্রিজের উপর পৌছানো মাত্র নাজমা, সেলিনা, শাকিল পারভেজ ও মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েবকজনে তাদের পথরোধ করে। এরপর প্রথমে পিস্তল দিয়ে লাভলীকে লক্ষ্য করে পরপর দুইটি গুলি করে। পিস্তলের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে লাভলীকে হত্যা করা হয়। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে লাভলীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর থেকেই হত্যার কারণ উদঘাটন ও খুনিদের আটকের জন্য সদর উপজেলার হাশিমপুর, দোগাছিয়া, ঝাউদিয়া, নারাঙ্গালী ও ধর্মতলাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। ওইদিনই গভীর রাতে লাভলীকে হত্যার অভিযোগে ওই চারজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় আটক শাকিলের কাছ থেকে লাভলীকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, গুলি ও গুলির বুলেটসহ আটক করা হয়। এছাড়া আটক অন্য তিনজনকে আটকসহ তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু, একটি করাত ও দুইটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা।